
আগামী ৮ আগস্ট দেশব্যাপী ভোটার তালিকায় “বিশেষ নিবিড় সংশোধন” প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই সংশোধনী প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন এবং একে “গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র” হিসেবে আখ্যা দেন।
মানিক সরকারের অভিযোগ, ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবে বিশেষভাবে মুসলিম ও তপশিলি জাতিভুক্ত মানুষদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার দাবি, এই জনগোষ্ঠী বিজেপির দমননীতি মেনে নেয় না এবং ভোটে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বিজেপির পরাজয়ের কারণ হতে পারে—এই আশঙ্কাতেই তাদের টার্গেট করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে এই বিশেষ সংশোধনের আড়ালে বিরোধীদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।” ত্রিপুরাতেও একই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন তিনি এবং দাবি করেন, তিপ্রা মথাও এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার।
মানিক সরকারের কথায়, “নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করছে। তাদের জারি করা বৈধ পরিচয়পত্র স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এইসবই বিজেপির ভোট হারানোর আতঙ্কেরই প্রতিফলন।”
তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানান—এই ‘গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের’ বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে এবং সংগঠিতভাবে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে। তার আশঙ্কা, সময়মতো প্রতিবাদ না হলে ভবিষ্যতে গোটা দেশেই প্রকৃত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রশ্নের মুখে পড়বে।