
ত্রিপুরায় স্মার্ট মিটার বসানো ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষোভ তীব্র হচ্ছে। আজ বনমালীপুরে বিদ্যুৎ নিগমের অফিস চত্বরে তীব্র প্রতিবাদ জানাল সদর জেলা কংগ্রেস। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিলের বৃদ্ধি এবং স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।প্রতিবাদ সভায় কংগ্রেসের অভিযোগ, স্মার্ট মিটারের আড়ালে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপরে বাড়তি বোঝা চাপানো হচ্ছে। বহু মানুষ অতিরিক্ত বিলের কারণে বিপাকে পড়েছেন। নেতারা বলেন, এই সিদ্ধান্ত জনস্বার্থবিরোধী এবং এটি মানুষের জীবনে বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।এই কর্মসূচি থেকে কংগ্রেস তিন দফা দাবি উত্থাপন করে:স্মার্ট মিটার বসানো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবেবিদ্যুতের মূল্য হ্রাস করতে হবেনিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ পরিষেবা নিশ্চিত করতে হবেকংগ্রেসের হুঁশিয়ারি, দাবিগুলি না মানলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে তারা।এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি স্মার্ট মিটার ইস্যুতে বিরোধীদের ‘ভুল তথ্য ছড়ানো’র অভিযোগ তোলেন। জানান, বাম সরকারের সময়েই বিদ্যুৎ বেসরকারিকরণ শুরু হয়েছিল এবং বিদ্যুৎ মাশুলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছিল।মন্ত্রী বলেন, “২০১০ সালে একবারে ৬২ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছিল, আর ২০০৮-১৫ সময়কালে মোট ১১৬ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল।” তার দাবি, বিজেপি সরকারের সময়ে সীমিত হারে বৃদ্ধি হয়েছে এবং বাস্তবতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তিনি আরও জানান, গ্যাস ও ডলারের আন্তর্জাতিক মূল্যের ওঠানামা বিদ্যুৎ মূল্যে প্রভাব ফেলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই মাসে বিল ভাগ করে পরিশোধের সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে অবৈধ হুক লাইন বন্ধে শীঘ্রই ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার শুরু হবে বলেও জানান তিনি।এই ইস্যু ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। কংগ্রেসের পাশাপাশি অন্যান্য দলও সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেছে।