
ত্রিপুরার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার চরম সংকট নিয়ে আজ মুখ খুলল অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটি (AISC)। রাজ্য সরকারের শিক্ষা অধিকর্তার দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়ে তারা শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্কট নিরসনে চার দফা দাবি জানিয়েছে।কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যের বহু স্কুলে শিক্ষক সংকট তীব্র। অনেক ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকই চালাচ্ছেন পুরো বিদ্যালয়। পাশাপাশি পরিকাঠামোগত ঘাটতি এবং শিক্ষকদের ওপর অতিরিক্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব চাপানোয় শিক্ষার মান নিচে নেমে যাচ্ছে।বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে ‘বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প’-এর প্রসঙ্গ। NEP 2020 চালুর পর সরকার ১২৫টি বাংলা মাধ্যম স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তর করে সিবিএসই বোর্ডের অধীনে নিয়ে আসে। কিন্তু যথাযথ ইংরেজি ভাষায় দক্ষ শিক্ষক না থাকায় পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ছে। এই প্রকল্পে থাকা স্কুলগুলোতে উন্নয়ন ফি-সহ নানা চার্জ বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র পরিবারগুলির শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে।কমিটি আরও দাবি করেছে, গত কয়েক বছরে রাজ্যে ৫২২টি সরকারি স্কুল বন্ধ হয়েছে এবং আরও প্রায় ৯৬৫টি স্কুল বন্ধ করার পরিকল্পনা চলছে, যা প্রান্তিক জনগণের শিক্ষার অধিকারকে বিপন্ন করছে।AISC-র চার দফা দাবি:১. অবিলম্বে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প বাতিল২. প্রতিটি স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ৩. কোনো অবস্থাতেই সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না৪. রাজ্যের সমস্ত স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের নিশ্চয়তাকমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে তারা বৃহত্তর গণআন্দোলনের পথে হাঁটবে।