
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাব দিতে ভারতীয় সেনা শুরু করে ‘অপারেশন মহাদেব’। এই অভিযানে এক বড় সাফল্য পেয়েছে চিনার কোর। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের দাচিগাম জঙ্গল এলাকায় অভিযানের সময় গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী সুলেমান মুসা।সেনার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত জঙ্গিদের সবাই পাকিস্তান-সমর্থিত লস্কর-ই-তইবা জেহাদি সংগঠনের সদস্য। সুলেমানের সঙ্গে নিহত হয়েছে তার দুই সহযোগী আবু হামজা এবং ইয়াসির।জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হাশিম মুসা ছদ্মনামে কাজ করত সুলেমান। বৈসরন উপত্যকায় এপ্রিলের ভয়াবহ পর্যটক হামলার পেছনে তার বড় ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।অভিযানের বিস্তারিতসোমবার ভোরে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে সেনার একটি স্পেশাল ইউনিট শ্রীনগরের দাচিগাম অঞ্চলে অভিযান শুরু করে। এলাকাটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার পর জঙ্গিরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে, পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনী। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। এখনও কয়েকজন জঙ্গি ওই অঞ্চলে লুকিয়ে আছে বলে অনুমান, ফলে অভিযান চলছে।পহেলগাঁও হামলা: পটভূমি২২ এপ্রিল পহেলগাঁও-এ এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এই ঘটনায় তিন পাকিস্তানি লস্কর জঙ্গির জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। এরইমধ্যে স্থানীয় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল জঙ্গিদের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াসোমবার সংসদে ‘পহেলগাঁও সন্ত্রাস’ ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে ১৬ ঘণ্টার বিশেষ আলোচনা নির্ধারিত। এতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।শেষ কথাজম্মু ও কাশ্মীরের এই সফল অভিযান সেনাবাহিনীর জন্য এক বড় কৃতিত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান ও সক্রিয় গোয়েন্দা তথ্যের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।