“বিজ্ঞান চাইলে কী না পারে!”এটি শুধু প্রবাদ বাক্য নয়, আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখব, কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—অর্থাৎ AI—একজন শিশুর জীবন বাঁচানোর বাস্তব উদাহরণ তৈরি করেছে। ঘটনা আমেরিকার, কিন্তু বার্তাটি সারা বিশ্বের জন্য।আমরা সবাই জানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আর শুধু ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়—এটি আজকের বাস্তবতা। নানা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এবার সেই প্রযুক্তি এসে পড়েছে সরাসরি আমাদের স্বাস্থ্যসেবায়। এবং এর ফলাফল? একেবারে চমকপ্রদ! পরিচয় করিয়ে দিই চার বছরের ছোট্ট অ্যালেক্সের সঙ্গে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে নানা সমস্যায় ভুগছিল এই শিশু—দাঁতে ব্যথা, শরীরের বৃদ্ধি কমে যাওয়া, হাঁটাচলার ভারসাম্য হারানো… কিন্তু ১৭ জন চিকিৎসক দেখানোর পরও মিলছিল না নির্দিষ্ট রোগের নাম। অবশেষে অ্যালেক্সের মা, কোর্টনি, একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ছেলের সমস্ত চিকিৎসা নথি ও উপসর্গগুলি তুলে ধরেন জনপ্রিয় AI চ্যাটবট—চ্যাটজিপিটির কাছে। আর সেখানেই ঘটে “মিরাকেল”! মাত্র কয়েক সেকেন্ডে চ্যাটজিপিটি জানিয়ে দেয় একটি সম্ভাব্য রোগের নাম—”টেদার্ড কর্ড সিন্ড্রোম”, একটি বিরল স্নায়বিক সমস্যা যা মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে। চ্যাটজিপিটির এই সুপারিশের ভিত্তিতে কোর্টনি ফেসবুকের একটি গ্রুপে যোগাযোগ করেন, যেখানে এই একই উপসর্গে ভোগা শিশুদের অভিভাবকরা ছিলেন। সেখান থেকে তিনি পান একজন অভিজ্ঞ নিউরোসার্জনের খোঁজ, যিনি পরবর্তীতে রোগটি নিশ্চিত করেন।হাসপাতাল, নিউরোসার্জারি ও সফল অ্যালেক্সের সফল মেরুদণ্ড অস্ত্রোপচারের পর এখন সে সুস্থ হয়ে উঠছে, ফিরে পাচ্ছে তার শৈশব।এটা কেবল এক শিশুর সুস্থ হওয়ার গল্প নয়—এটি এআই ও মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতের এক আশাবাদী দিকচিহ্ন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই ভূমিকা আমাদের দেখিয়ে দেয়, নির্ভুল ও দ্রুত রোগ নির্ণয়ের এক নতুন দিগন্ত। প্রযুক্তিকে শুধু ভয় নয়, ব্যবহার করতে শিখলে সেটাই হতে পারে আমাদের পরিত্রাণের পথ। আর অ্যালেক্সের গল্প তার এক উজ্জ্বল প্রমাণ।