×

ককবরক ভাষার লিপি সংক্রান্ত বিতর্কের প্রসঙ্গে বিধানসভায় কি সিদ্ধান্ত হলো?

ককবরক ভাষার লিপি সংক্রান্ত বিতর্কের প্রসঙ্গে বিধানসভায় কি সিদ্ধান্ত হলো?

নিজস্ব : ত্রিপুরা : ২১মার্চ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা ককবরক ভাষার লিপি সংক্রান্ত বিতর্কের সমাধানে দায়িত্বশীল অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ককবরক ভাষাভাষী ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখেই আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিধানসভায় রোমান লিপি সংক্রান্ত বিতর্কের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেন যে, রাজ্য সরকার সংবেদনশীল বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।​উল্লেখ্য, রাজ্যের উপজাতি অংশের একটি বড় অংশ ককবরক ভাষার প্রচলিত রোমান লিপি গ্রহণের দাবি তুললেও, সরকারি পর্যায়ে বাংলা লিপি ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থী ও ভাষা গবেষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে ককবরক ভাষার লিপি পরিবর্তনের দাবি নিয়ে বিতর্ক চললেও, সরকার আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথ খুঁজবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।​এর আগে, তিপ্রা মথা দলের নেতা রাজেশ্বর দেববর্মা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ককবরক ভাষার রোমান লিপি গ্রহণের দাবি জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০০ সালে ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল (TTAADC) এই নিয়ে একটি বিল পাস করেছিল। এছাড়াও, দুটি ভাষা কমিশনও ককবরক ভাষার রোমান লিপি গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছিল। বিজ্ঞানসম্মতভাবে ককবরক ভাষার উচ্চারণকে একমাত্র রোমান লিপিতেই সঠিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ​মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা আরও জানান যে, রাজ্য সরকার ককবরক ভাষা-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ভাষার সংরক্ষণ ও মর্যাদা প্রদানে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে ত্রিপুরার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ককবরক ভাষা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যান্য জনজাতি গোষ্ঠীর ভাষাগুলির উন্নয়নেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ​এই পরিস্থিতিতে, ককবরক ভাষার লিপি সংক্রান্ত বিতর্কের সমাধানে রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।​

Post Comment

You May Have Missed