নরেন্দ্র মোদির সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ধলেশ্বরে আয়োজিত হলো “বিকশিত ভারত সংকল্প সভা
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের ১১ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে তুলতে রাজ্যব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রদেশ বিজেপি। এই কর্মসূচির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে “বিকশিত ভারত সংকল্প সভা” — যার মূল উদ্দেশ্য হল গত এক দশকের বেশি সময়ে মোদি সরকারের অধীনে দেশের উন্নয়নমূলক ও জনকল্যাণমুখী কাজগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরা।এই কর্মসূচিরই অঙ্গ হিসেবে আজ বনমালীপুর মন্ডলের উদ্যোগে ধলেশ্বর কামিনি কুমার স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশিষ্ট “বিকশিত ভারত সংকল্প সভা”। সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, সদর আরবান সভাপতি অসিম ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি অনিমেষ দেববর্মা, বনমালীপুর মন্ডলের সভাপতি শুভাশিস দাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও কর্মীসমর্থকরা।সভা ঘিরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে প্রবল উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। প্রচুর মানুষের উপস্থিতিতে সভা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রধান বক্তারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি সরকারের অধীনে বিগত ১১ বছরে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে হওয়া উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, কৃষি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, আত্মনির্ভর ভারত, জন ধন যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, পিএম-কিষান সম্মান নিধি, উজ্বলা যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে যে কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে, তা সভায় ব্যাখ্যা করা হয়।রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য তাঁর ভাষণে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আজ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন— এই তিনটি দিকেই বিগত ১১ বছরে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আমাদের প্রত্যেককে বিকশিত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শপথ নিতে হবে।”অসিম ভট্টাচার্য বলেন, “ত্রিপুরাতেও কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। পূর্বতন সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে যে উন্নয়ন থমকে ছিল, তা বর্তমানে পূর্ণ গতিতে এগোচ্ছে। বিজেপির সরকার মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”বক্তব্য শেষে দলীয় কর্মীদের মধ্যে “বিকশিত ভারতের সংকল্প” গ্রন্থিকা বিতরণ করা হয়। এই সভা থেকে স্পষ্ট যে বিজেপি আগামীদিনে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে সচেষ্ট থাকবে। জনসংযোগের মাধ্যমে দলীয় ঘাঁটি মজবুত করার দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।সভা শেষে স্থানীয় জনগণ মোদি সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচি আরও বেশি সংখ্যায় আয়োজনের আহ্বান জানান।
Post Comment