ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দুই যুবক
ত্রিপুরায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু ! রাজ্যজুড়ে চলছে সচেতনতার প্রচার। এরই মধ্যে দুই ডেঙ্গু আক্রমণ যুবকের খবর মিললো।
আক্রান্ত দুই যুবকের নাম অলক চক্রবর্তী, বাড়ি খোয়াইয়ের চর গনকি এলাকায়। অপরজন প্রমিস দেববর্মা বাড়ি তুলাশিখর এলাকায়। বর্তমানে দুইজনেই খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই প্রসঙ্গে খোয়াই জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার মৃদুল দাস জানান দুজনেই এখন অনেকটা সুস্থ। এই দুই যুবক ব্যাঙ্গালোরে নার্সিং কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করছিল। সেখানে তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তারপর তাদেরকে ত্রিপুরায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি জানান ৩রা আগস্ট প্রমিস দেববর্মা জেলা হাসপাতালে এসে ভর্তি হয় এবং ৪ঠা আগস্ট অলক চক্রবর্তী ভর্তি হয়। হাসপাতলে আইসোলেশন ওয়ার্ড না থাকায় তাদেরকে জেনারেল ওয়ার্ডেই ভর্তি করানো হয়।এই প্রসঙ্গে তিনি জানান তাদের দেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই। যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলছে তাতে তারা অনেকটাই সুস্থ। এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তারা পুরোদমে সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে এ বিষয়ে হাসপাতালের এম এস যতই ক্লিয়ারিফিকেশন দেন না কেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীদের মধ্যে কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এছাড়া ও ত্রিপুরার অন্যান্য জায়গা যেমন
চড়িলাম ধারিয়াথল ভিলেজের পুরান লেম্বুতলী এবং গয়ারাম কোবরা পাড়ার অসংখ্য জনজাতিরা জ্বরে আক্রান্ত। শেষমেশ মেডিকেল টিম গিয়ে পৌঁছে চড়িলাম ধারিয়াথল এলাকায়।
রবিবার সকালে জনজাতির লোকেরা একটু হলেও স্বস্তি পেল। এসডিএমও জ্যোতির্ময় দাস, সিএমও, সিপাহীজলার নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম, এমওআইসি বিশ্রামগঞ্জ পিএইচসি, ডিএমও, সিপাহীজলা, এফডব্লিউপিএম, সরকারের অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহ লেম্বতলী এবং গয়ারাম কোবরা পাড়ায় গিয়ে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে।
একদিকে চলে স্বাস্থ্যশিবির অন্যদিকে পুরান লেম্বুতলী ও গয়ারাম কোবরা পাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শনকালে মেডিকেল টিমটি গ্রামের কিছু পরিবারের লোকের সাথে পরিদর্শন করে এবং নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আগামী ৭দিনের জন্য গ্রামে প্রতিদিন স্বাস্থ্য শিবির করা হবে।
1 comment