ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু পদ্ম সেন ত্রিপুরার মতো জনজাতিদের কোন ভাগ্য আর ফিরছে না।*
নিজস্ব প্রতিনিধি :ত্রিপুরা :প্রিয়াংকা বনিক : ১৯ নভেম্বর
জনজাতিদের জীবনযাত্রা মান উন্নয়নে কেন্দ্র-রাজ্য সরকার এত প্রকল্প ঘোষণা করা হলেও কেন পদ্মসেন ত্রিপুরার মতো জনজাতিরা আজো বঞ্চিত হয়ে আছে।তাহলে কি জনজাতিদের কাছে প্রকল্পগুলো ঠিকভাবে পৌঁছছে না সেটাই বিবেচ্য বিষয়। কংগ্রেসের জোট সরকার গেল, বাম সরকারের পতন হলো রাজ্যে উত্থান হল রাম সরকারের । রাম সরকারের সুশাসনে জনজাতিরা খুশি হয়েছিল এবার হয়তো তাদের আর্থ ও সামাজিক মান উন্নয়ন হবে । উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলির উন্নয়ন হবে কিন্তু তা আর হয় নি।আজো উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে , পানীয় জলের সুব্যাবস্থা নেই, যোগাযোগ ব্যাবস্থাও নেই এমনকি বিদ্যুৎ এর ব্যাবস্থাও ঠিকভাবে গড়ে উঠে নি। যারফলে রাতের আঁধার নেমে আসলেই, অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে এডিসি এলাকার জনজাতির ঘরগুলো। বামেও যা রামেও তা। জনজাতিদের দুঃখ দুর্দশা আর ঘোচে না। ঋষ্যমুখ ব্লকের দরিদ্র উপজাতি পদ্মসেন ত্রিপুরা দীর্ঘ বছর যাবৎ সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে । পঞ্চায়েত ,এডিসি ভিলেজের নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন। পদ্মসেন ত্রিপুরার বাড়ি ঋষ্যমুখ ব্লকের মোহিনী নগর এডিসি ভিলেজের টাক্কা বাড়ি এলাকায়। বয়স ৫২ বছর। স্ত্রী এবং তিন সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন। গত প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে তার পায়ের সমস্যার কারনে কোন ভারী কাজ করতে পারছেন না।পায়ের সব আঙ্গুল বেঁকে গেছে। বিকলাঙ্গ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করে ও পাচ্ছেন না। তার অভিযোগ জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাকে ভারি কাজ করতে না পারায় রেগার কাজে নিচ্ছে না। অতি দরিদ্র পরিবার হয়েও তার রেশন কার্ড এপিএল ভুক্ত করে দিয়েছে। তাকে রেগার কাজ দিতে এবং রেশন কার্ড বিপিএল ভুক্ত করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত ভিলেজের মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এতদিন ধরে মাতব্বররা মিথ্যা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দিচ্ছে না। পাঁচ জনের সংসারে তার স্ত্রীর সামান্য উপার্জনে অতিকষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে তাদের। তাই পদ্ম সেন ত্রিপুরার মতো জনজাতিরা প্রশ্ন তুলছে জনজাতি দের জন্য ঘোষিত প্রকল্প কোথায় যাচ্ছে, কারা পাচ্ছে । কেন আমরা বঞ্চিত সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে।
Post Comment