আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলতেই শান্তনু কে দলের পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা : প্রিয়াংকা বনিক : ১৫ আগস্ট
আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুলে তৃণমূলেই শাস্তির মুখে পড়লেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন। এ দিনই রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর গোটা বিষয় নিয়ে এবং হাসপাতালের পরিবেশ ও বর্তমান কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন।
গতকাল তিনি জানিয়েছিলেন আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দলের পক্ষে আর কোনও বিবৃতিও দেবেন না।
আরজি করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শান্তনুবাবুর স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক কাকলি সেনও। এর পরেই আজ সকালে শান্তনু সেনকে মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এ দিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের জেরে শান্তনু সেনকে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিন আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেন যা বলেছেন, তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়ে দিয়েছে দল। শান্তনু সেনকে পদ থেকে সরানোর ঘোষণা করে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘গতকাল বেহালার মিটিং থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়টি কিছুটা আপনাদের জানিয়েছিলেন। আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেন যা বলেছেন, তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মত। দল এর দায়িত্ব নেবে না।’
শান্তনু সেনের আরও অভিযোগ ছিল, আরজি করে পড়তে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁর ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়েকেও।
আরজি কর কাণ্ডের পরই ওই হাসপাতালের প্রাক্তনী শান্তনু সেন হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর নিশানায় ছিল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার নামেও দুর্নীতি চলে বলে অভিযোগ করেন শান্তনু। যা বিপাকে ফেলেছিল শাসক দলকে।
এবার তাঁকে দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে সরানো হল। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শান্তনুকে আর টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস । যদিও এ বিষয়ে শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। যদিও গতকাল তিনি জানিয়েছিলেন, আরজি কর কাণ্ডে মুখ না খুললেও ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যুতে দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
তবে এই দিকে দলের রোষে শান্তনু। তবে কি কিছু সত্য বেরিয়ে আসছে বলেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই ধরণের পদক্ষেপ।
1 comment