×

বিমান দুর্ঘটনায় একা বাঁচলেন রমেশ বিশ্ব কুমার

বিমান দুর্ঘটনায় একা বাঁচলেন রমেশ বিশ্ব কুমার

আহমেদাবাদের কাছে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় যখন সকল যাত্রীর বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছিল, তখনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা সামনে আসে। পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক প্রথমে জানিয়েছিলেন, বিমানে থাকা কেউ বেঁচে নেই। তবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মধ্যেও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন রমেশ বিশ্বকুমার নামের এক ব্যক্তি, যিনি ইকোনমি ক্লাসের ১১এ আসনে বসেছিলেন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জানা গিয়েছে, বছর ৪০-এর বিশ্বাস কুমার রমেশ নামের এক যাত্রী সেই বিমানে ছিলেন এবং অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। তাঁর শরীরে গভীর ক্ষত রয়েছে—চোখ, বুক এবং দেহের নানা অংশে।বিশ্বাস জানিয়েছেন, উড়ান শুরুর কয়েক সেকেন্ড পরেই এক বিকট শব্দ শোনা যায়। তারপরেই বিমানটি আচমকা ভেঙে পড়ে। তার সঙ্গে একই বিমানে ছিলেন তাঁর ভাইও।বিশ্বাস বলেন, “জ্ঞান ফিরে দেখি চারদিকে শুধু মৃতদেহ আর কান্নার শব্দ। কোনোভাবে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাই। কিন্তু ভাইকে আর খুঁজে পাইনি।”বিশ্বাস কুমার গত ২০ বছর ধরে লন্ডনে থাকছেন। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান এখনো লন্ডনেই আছেন।এদিকে ডিজিসিএ-এর রিপোর্ট বলছে, বিমানটি ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট করে নিচে নামতে শুরু করে। পাইলটদের হাতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো সময় ছিল না—মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়।বিমানে প্রায় ২৫০ জন যাত্রী ছিলেন। জানা গিয়েছে, উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।এই দুর্ঘটনায় শুধু বিমানই নয়, আশেপাশের বহু বাড়ি, গাড়ি এমনকী গাছপালাও আগুনে পুড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলছে উদ্ধার ও ত্রাণকার্য।এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি।এখনও পর্যন্ত কতজনের মৃত্যু হয়েছে কিংবা আহত হয়েছেন, তা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি শোকপ্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

Post Comment

You May Have Missed