×

মেয়ের শরীরে কাপড় নেই” আরজিকর ঘটনায় সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন মৃতার পরিবার

মেয়ের শরীরে কাপড় নেই” আরজিকর ঘটনায় সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন মৃতার পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রিয়াংকা বনিক : ১৪ আগস্ট।

মেয়ের দেহ কতক্ষণ দেখতে হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল? সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বিস্তারিত জানালেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষিত ও খুন হওয়া তরুণী ডাক্তারের পরিবার। মৃত মেয়ের দেহ দেখাতেই সে দিন ৩ ঘণ্টার উপর সময় নিয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তরুণী ডাক্তারের বাবা জানান, তিনি যখন হাসপাতাল থেকে ফোন পান, তখনই আঁচ করেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে কিছু একটা হয়েছে। চিত্‍কার করে কেঁদে ওঠেন মা। তরুণী ডাক্তারের বাবার কথায়, ‘ওর মা চিত্‍কার করে কেঁদে উঠল। হাসপাতাল থেকে ওরা বল, আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আপনি তাড়াতাড়ি আসুন।’

ডাক্তার তরুণীর মা জানালেন, হাসপাতালের বাইরে তাঁদের ৩ ঘণ্টার উপর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল। কেন এতক্ষণ অপেক্ষা, কী লোকানোর চেষ্টা হয়েছে ওই ৩ ঘণ্টায়, তা এখনও রহস্য পরিবারের কাছে।

ঘটনার রাতে নিহত তরুণীর পরিবারকে ফোন করেছিলেন আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। মৃতার পরিবারকে তিনিই জানিয়েছিলেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালে সেমিনার হলে দেহ পাওয়া গিয়েছে।মৃত তরুণী ডাক্তারের পাড়াতেই থাকেন এক আত্মীয়ের কথায়, ‘ওদের বাড়ি থেকে চিত্‍কার করে কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। শুনেই বাড়িতে যাই। জানলাম, হাসপাতাল থেকে ফোন করেছে, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’

মা-বাবা হাসপাতালে পৌঁছে মেয়ের দেহ দেখতে চান। তখন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে, অপেক্ষা করতে হবে। এরপর শুরু হয় অপেক্ষার পালা। ৩ ঘণ্টার উপর। ওই আত্মীয়ের কথায়, ‘তিন ঘণ্টা পর ওরা বলল, শুধু বাবা দেখতে পারবেন দেহ। ছবি তুলতে পারবেন। আমরা ছবি দেখে স্তম্ভিত। গায়ে কাপড় নেই। পা ৯০ ডিগ্রি চেরা। যেন কেউ দুটো পা ধরে চিরে ফেলার চেষ্টা করেছিল ওকে। চশমা ভাঙা। চোখে চাপ রক্ত।

এদিকে এই ঘটনার পাঁচ দিন কেটে গেলো। গোটা রাজ্যে চলছে চিকিৎসকদের তীব্র আন্দোলন, যা এখন দেশব্যাপী প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হলেও, আন্দোলনকারীদের দাবি-ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী ধরা না পড়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

Post Comment

You May Have Missed