
মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রধানমন্ত্রীর, অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার
ত্রিপুরার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নাম মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর। তাঁকে যথার্থভাবেই বলা হয় ‘আধুনিক ত্রিপুরার স্থপতি’। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আজ শ্রদ্ধা জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জে পি নাড্ডা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকালে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,
“মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। ত্রিপুরার উন্নয়নে তাঁর অনুকরণীয় প্রচেষ্টার জন্য তিনি প্রশংসিত। জনসেবার প্রতি তাঁর আবেগ, দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা আমাদের সর্বদা অনুপ্রাণিত করে। আজও কেন্দ্রীয় সরকার ও ত্রিপুরা সরকার তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।”
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে স্পষ্ট, মহারাজার উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এখনও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,
“মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আধুনিক ত্রিপুরার স্থপতি হিসেবে চিরস্মরণীয়। শিক্ষা, পরিকাঠামো এবং প্রশাসনে তাঁর দূরদর্শী সংস্কার ত্রিপুরার উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন, মহারাজার ঐতিহ্য ও কীর্তি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও জোগাবে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জে পি নাড্ডাও মহারাজার জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহারাজার অবদান শুধুমাত্র ত্রিপুরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তাঁর ভাবনা ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের অগ্রগতির জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরকে ত্রিপুরার আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম জনক বলা হয়। তিনি ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের (সেই সময়ের ‘মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ’) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। শুধু শিক্ষা নয়, প্রশাসনিক সংস্কার, সড়ক যোগাযোগ এবং শহর পরিকল্পনায়ও তাঁর সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ রাজ্যের উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার আধুনিক রূপও তাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠে। তিনি বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন, যা আজ মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর নামে পরিচিত। এইসব উদ্যোগই প্রমাণ করে, তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন দূরদর্শী শাসক, যিনি রাজ্যের ভবিষ্যতের জন্য নতুন দিকনির্দেশ করেছিলেন।
আজ যখন দেশজুড়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তার এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়ন নিয়ে সরকার কাজ করছে, তখন মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের চিন্তাধারা নতুন করে মূল্যায়িত হচ্ছে। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে দেশের শীর্ষ নেতারা শ্রদ্ধা জানানোয় আবারও স্পষ্ট হলো যে, তাঁর অবদান কেবল ইতিহাসের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশকও বটে।