×

পানীয় জল ও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের আবেদন সিমনার নলচাবাড়ির জণগণের।*

পানীয় জল ও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের আবেদন সিমনার নলচাবাড়ির জণগণের।*

নিজস্ব প্রতিনিধি :ত্রিপুরা : প্রিয়াংকা বনিক :২২ সেপ্টেম্বর

নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি থাকলেও নির্বাচন ফুরিয়ে গেলে সব প্রতিশ্রুতি যেন উড়ন্ত পাখির মত কোথাও হারিয়ে যায়। একই এলাকায় রাজ্য সরকার এবং এডিসি প্রশাসনের দুই দুইজন মন্ত্রী থাকলেও সাধারণ পানীয় জলের জন্য আজও জনজাতি জনগনকে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের কুয়ার জল পান করে জীবন বাঁচাতে হচ্ছে।নির্বাচন আসলে প্রতিশ্রুতি ফুলের মতো ঝরতে থাকে জনগনের উদ্দেশ্যে নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও সব বন্যার জলের মতো ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।জনগণ আবারো সেই জায়গাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় জনজাতি এলাকার জনগণ পাহাড়ের আকা বাকা উচু নিচু পথ বেয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমে পড়তে বাধ্য হন।মহকুমা,ব্লক প্রশাসন,স্থানীয় নেতা মন্ত্রীদের বার বার জানানোর পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি তাই অবশেষ জনগণ নূন্যতম সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায় ত্রিপল ইঞ্জিনের রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি।

এই দৃশ্য উঠে আসে মোহনপুর মহকুমার হেজামারা ব্লকের অন্তর্গত ১ নং সিমনা বিধানসভার রামসংঘ পঞ্চায়েতের নলচা বাড়ি এলাকা থেকে।পানীয় জলের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ি আকা বাকা উচু নিচু বিপদজনক পথ বেয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে পানীয় জল সরবরাহ করতে হয় জনজাতি জনগণকে।এই এলাকায় পানীয় জল,বিদ্যুৎ সহ নেই সঠিক রাস্তা ঘাট বলে দাবি স্থানীয়দের।এই বিষয়ে স্থানীয় এক যুবক জানান ১ নং সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের শিল্প ও বানিজ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা,ত্রিপুরা স্ব শাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য রবীন্দ্র দেববর্মাকে একাধিকবার জানিয়েও সমস্যা সমাধান হয়নি ,এটি তাদের নির্বাচনী এলাকা তাই নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির ফুল ঝরালেও নির্বাচন শেষে সেই একই অবস্থা।তাই মোহনপুর মহকুমার হেজামারা ব্লকের ১ নং সিমনা বিধানসভার রামসংঘ পঞ্চায়েতের নলচা বাড়ি এলাকার জনগন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মন্ত্রীদের নিকট আবেদন করে উক্ত এলাকা পরিদর্শন করে জনগনের দীর্ঘ দিনের নূন্যতম সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের ব্যাবস্থা করার পাশাপাশি মোহনপুর মহকুমা প্রশাসন, হেজামারা ব্লক প্রশাসন, অর্থাৎ রাজ্য সরকারের নিকট আবেদন করেন তাদের তারা।

Post Comment