×

পাকিস্তানে পা রাখতে পারে নরেন্দ্র মোদী। কি হবে এর পরিণতি?

modi in pakistan

পাকিস্তানে পা রাখতে পারে নরেন্দ্র মোদী। কি হবে এর পরিণতি?

প্রিয়াঙ্কা বনিক :৩০ আগস্ট

পেরিয়ে গেছে এক দশক। ২০১৫ সালে আফগানিস্তান থেকে ফেরার পথে পাকিস্তানে অবতরন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর বাসভবনেও যান। প্রধানমন্ত্রীর এই আকস্মিক পাক-সফর নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবার দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনার মধ্যেই আবারও সেই ‘ডাক’ এল নয়াদিল্লির কাছে।
ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানালো পাকিস্তান । আগামী অক্টোবর মাসে ইসলামাবাদে আয়োজিত হবে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ বৈঠক। আর সেই বৈঠকে যোগ দিতেই পাকিস্তানের রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র, মমতাজ জাহরা বালোচ জানিয়েছেন, ১৫ ও ১৬ অক্টোবর এই শীর্ষ বৈঠক হবে। তার জন্য প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী দেশের প্রধানদের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
এদিক এসসিও একটি বহু দেশীয় সম্মেলন হওয়ায় সেখানে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক রীতিনীতি মেনেই হয়তো পাকিস্তানে পা রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে যতক্ষণ স্পষ্ট করা হচ্ছে ততক্ষণ কিছুই বলা যাচ্ছে না।

www.mimipickle.in

ইসলামাবাদ এবং নয়া দিল্লির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কাশ্মীর সমস্যা এবং সেইসঙ্গে পাক মদতে সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবাদের সমস্যাই এর কারণ। ইমরান খানের সময় থেকে পাকিস্তান বেশ কয়েকবার ভারতের সঙ্গে আলোচনায় সার ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে, ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নয়া দিল্লিও পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়। তবে, তার জন্য পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন কি না, তা নিয়ে নানা খবর ছড়িয়ে পড়েছে ৷ তিনি এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলেও রটনা হয় ৷ বিদেশমন্ত্রক এই সব খবর খারিত করে একটি সরকারি বিবৃতি জারি করে ৷ তাতে জানানো হয়েছে, “বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একটি খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে, পাকিস্তানে এসসিও-র বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন না ৷ বা বিদেশ মন্ত্রক পাকিস্তানে এই এসসিও বৈঠকে যাবে ৷ বিদেশ মন্ত্রক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ৷ এই জাতীয় খবরগুলি উপেক্ষা করা উচিত ৷”

এছাড়া ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লির মধ্যে টানাপোড়েনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, প্রাথমিকভাবে কাশ্মীর সমস্যা এবং সেইসাথে পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কারণে।

ভারত বজায় রেখেছে যে তারা পাকিস্তানের সাথে স্বাভাবিক প্রতিবেশী সম্পর্ক চায় এবং জোর দিয়ে বলে যে এই ধরনের একটি ব্যস্ততার জন্য সন্ত্রাস ও শত্রুতামুক্ত পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব ইসলামাবাদের উপর রয়েছে।

5 আগস্ট, 2019-এ ভারতীয় পার্লামেন্ট 370 ধারা বাতিল করার পর পাকিস্তান ভারতের সাথে তার সম্পর্ক কমিয়েছে।

Post Comment