
নিজস্ব প্রতিনিধি : ত্রিপুরা : প্রিয়াংকা বনিক : ৩০ অক্টোবর
ঘরে স্ত্রী, পুত্র ও বিবাহিত মেয়ে থাকার পরেও এক লম্পট স্বামী পালিয়ে নিলেন শালার বউকে নিয়ে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় আজ থেকে ২০ বছর আগে যাত্রাপুর থানা দিন মাছিমা রাঙ্গা মুরার আলফু মিয়ার ছেলে গনি মিয়ার সাথে সামাজিকভাবে বিবাহ হয় সোনামুড়া থানা দিন রাঙ্গামাটিয়ার ভোলামুড়ার মৃত চানমিয়ার মেয়ে লিলু বেগমের সাথে। বিয়ের তিন বছর পর্যন্ত তাদের সংসার খুব সুখে শান্তিতে ছিল। কিন্তু তিন বছর পর স্বামী গনি মিয়া তার স্ত্রীর উপর কখনো শারিরীক আবার কখনো মানসিকভাবে অকথ্য নির্যাতন করে থাকত। নির্যাতনের মাত্রা স্ত্রী লিলু বেগম সহ্য করে ও স্বামীর সংসার করেছেন।

এ নিয়ে ওই এলাকা সামাজিক বিচারও হয়। কিন্তু স্বামী গনি মিয়া সামাজিক বিচার, এলাকার কাউকে মান্যতা দেন না।এক কথা স্ত্রীলিলু বেগম অস্থির পরিবেশে সেই স্বামীর সংসার করে গেছেন। বর্তমানে তাদের একটি ছোট্ট ছেলে ও বিবাহিত একটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী লিলু বেগমের অভিযোগ তার স্বামী একজন দুশ্চরিত্র ও লম্পট, সে পরকীয়ার বেড়াজালে পড়ে তার উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করতো। এর মধ্যে স্বামী গনি মিয়া একটি অঘটন ঘটায়,সেটি হল সে গোপনে লিলু বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, এবং তাকে নিয়ে একবার পালিয়ে যান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিলু বেগম আত্মীয়স্বজনরা সেটাকে মীমাংসা করে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে, ভাইয়ের সংসারে ফিরিয়ে দেন, কিন্তু কয়েকদিন আগে আবার স্বামী গনি মিয়া লিলু বেগমের ভাইয়ের স্ত্রীকে পালিয়ে নিয়ে যান। এ বিষয়ে লিলু বেগম তার স্বামী গনি মিয়ার বিরুদ্ধে থানা মামলা করেন, সে মামলার পরিপেক্ষিতে সোনামুড়া থানা পুলিশ গনি মিয়াকে সোনামুড়া থানা নিয়ে আসেন,।কিন্তু মামলার ধারা অনুসারে অভিযুক্ত গুনি মিয়াকে এক রাত্র থানা রাখার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা সোনামুড়া থানার পুলিশ তাকে ছেড়ে দে। অন্যদিকে আরো অভিযোগ গনি মিয়ার ভাইয়েরা স্ত্রী লিলু বেগমের ভাইকে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের হুমকি, মেরে ফেলবে, ইত্যাদি দিয়ে যাচ্ছে। এখন স্ত্রী লিলু বেগম রাজ্যের প্রশাসন নিকট আবেদন জানাচ্ছেন তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রশাসন যেন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সবকিছু মিলিয়ে এ পরকীয়ার কারণে সমাজে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি এই সমস্ত পরকীয়ার ব্যাপারে কোন কঠোর আইন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে সমাজ আরো ধ্বংসের দিকে চলে যাবে