
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রিয়াংকা বনিক : ১ নভেম্বর একদিকে পশ্চিম এশিয়ায় ঘনিয়েছে ভয়ংকর যুদ্ধের মেঘ। গাজা-লেবাননে রক্ত ঝরাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। যে কোনও সময় সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে পারে ইরান-ইজরায়েল। অন্যদিকে তিন বছর হতে চলল, রক্তক্ষয়ী লড়াই থামছেই না ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে। ‘বন্ধু’ দেশকে প্রতিনিয়ত অস্ত্রের জোগান দিয়ে এই যুদ্ধে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা, উত্তর কোরিয়ার মতো পরমাণু শক্তিধর দেশ।এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে জ্বালানির দাম, খাদ্য সামগ্রী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং নানা দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর এই যুদ্ধগুলো সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মত জেমি ডিমনের। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা খুব ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দেশ চলমান লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। এই সংঘাত দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বাসঘাতকতা বাড়ছে। ভবিষ্যতে এর ফল খুবই খারাপ হতে চলেছে।”মধ্যপ্রাচ্য বরাবরই বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে। কিন্তু এতে বিস্ফোরণ ঘটায় গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে হামাসের হামলা। প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও গাজায় ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ চালিয়ে যাচ্ছে তেল আভিভ। সংঘাত শুরু হয়েছে লেবাননে। এবার সম্মুখ সমরে ইরান-ইজরায়েল! ফলে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল গাজায়, এখন তা লেবানন-ইরান হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে প্রায় মধ্যপ্রাচ্যে। আর এখানেও ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে শক্তি যোগাচ্ছে আমেরিকা। বিশ্লেষকদের মতে, এই মার্কিন বিশেষজ্ঞ যতই দোষারোপ করুন রাশিয়া ও চিনকে, দায় ঝেরে ফেলতে পারে না ওয়াশিংটনও। এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতেও ইরানকে হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। তেল আভিভে আক্রমণ শানালে পালটা দেবে তারাও। ফলে এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্বের ছায়া-অবদান অনস্বীকার্য।