আরজি কর হামলায় কি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের হাত রয়েছে? ঘটনার মোড় ঘোরাতেই কি এইরকম কান্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা : প্রিয়াংকা বনিক : ১৭ আগস্ট
বুধবার রাতে একদিকে যখন রাত দখলে নারীরা, তখন আচমকাই আরজি করে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর চালানো হয় সেখানে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজনীতির ছোঁয়া লেগেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই দাবি করেছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। এবার তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ এক যুবক নিজেই ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে স্বীকার করে নিলেন হামলার কথা। সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে আরজি করে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে নেন পেশায় জিম ট্রেনার সৌমিক দাস। দমদমের পূর্ব সিঁথি নিবাসী এই যুবক তৃণমূল কাউন্সিলর রাজু সেন শর্মার ঘনিষ্ঠ বলে খবর। তিনি জানান, আরজি করের হামলার পিছনে কারোর প্ররোচনা ছিল না। হামলাকারী বলেন, তিনি প্রতিবাদ মিছিলে গিয়েছিলেন। এরপর অন্যদের সঙ্গে আরজি করে ঢুকে ভাঙচুর চালান। সৌমিকের কথায়, ‘ইমোশনালি আমিও ওখানে ভাঙচুর করেছি। ওটা সত্যিই আমার অপরাধ হয়েছে, ভুল হয়েছে’। তিনি জানান, কারোর প্ররোচনা ছিল না। তিনি নিজে থেকেই গিয়েছিলেন।পেশায় জিম ট্রেনার ওই যুবক বলেন, সেদিন রাতে তাঁর চেনা পরিচিত অনেকেই মিছিলে গিয়েছিলেন। যেখানে জিম করেন, সেখান থেকেও অনেকে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন সৌমিক। পুলিশের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিনা জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, গতকাল পুলিশ ফোন করেছিল। তবে এক জায়গায় গিয়েছিলেন বলে আসতে পারেননি।এদিকে সৌমিকের এই স্বীকারোক্তির পর কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কীভাবে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে দিব্যি বাড়িতে বসে আছেন তিনি? এখনও কেন হামলাকারীকে ধরেনি পুলিশ? তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ বলেই কি ছাড়? দেখা দিয়েছে এমনই নানান প্রশ্ন।
তবে আর জি ঘটনা নিয়ে আদৌ সঠিকভাবে কতটা তদন্ত হচ্ছে তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার প্রায় সাতদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো মূল অভিযুক্ত দের জালে তুলতে পারেনি সিবিআই।
2 comments