×

বাংলাদেশের অত্যাচারিত হিন্দুদের রক্ষা করতে ভারত সরকারের বড় সিদ্ধান্ত

Hinds of bangladesh

বাংলাদেশের অত্যাচারিত হিন্দুদের রক্ষা করতে ভারত সরকারের বড় সিদ্ধান্ত

বর্তমানে বাংলাদেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। সেখানকার হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার বলে খবর আসছে। হিন্দুদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, বাড়িঘর ভাঙচুর, হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দু মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মত বহু ঘটনা সামনে এসেছে। আর এই পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র যখন উত্তাল, ঠিক তখনই কি পদক্ষেপ নেবে ভারত, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। শেষমেশ সর্বদলীয় বৈঠক করে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার।সূত্রের খবর, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক করা হয়। যার দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। অবশেষে সেই সর্বদলীয় বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জানা গিয়েছে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশে যে সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার, তাদের সব রকম ভাবে রক্ষা করবে ভারত সরকার।

হাসিনা বিদায়ের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বহু জায়গায় বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। বাগেরহাটে আবার ঘরে ঢুকে স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে খু*ন হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মন্দিরে মন্দিরে ভাঙচুর চলেছে সেই সোমবার থেকেই। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেদেশের বেশ কিছু ভিডিয়ো।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, সহিংসতা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ জুড়ে। বহু থানা পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। বহু পুলিশ, ব়্যাব এবং সেনা সদস্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বহু আওয়ামি লিগ নেতাকেও পিটিয়ে খুন করেছে বিক্ষোভকারীরা। অনেককে মেরে উলটো করে ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গিয়েছে। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গতকাল পুলিশ, বিজিবি নিরাপত্তাক্ষী কর্মীদের একাধিক মৃতদেহ এসেছে। এদিকে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা সবাই পুলিশ সদস্য কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে শুধুমাত্র এই একটি ঘটনাতেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভের আবহে ঢাকা সব বাংলাদেশের বিভিন্ন থানা পুলিশশূন্য। নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশরা সরব হয়েছেন। এই আবহে অনেক জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্র-যুবদেরই। তবে এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি কবে শান্ত হবে, তা জানা নেই কারও।

স্বাভাবিক ভাবেই এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ যে হিন্দু সমাজের মনে যথেষ্ট আশা তৈরি করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যারা ওপারে হিন্দু হয়ে প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন, তাদেরকে রক্ষা করবার জন্য যে ভারত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে, সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় কিছুটা হলেও স্বস্তির আবহ তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Post Comment