
নিজস্ব প্রতিনিধি :কলকাতা :প্রিয়াংকা বনিক : ২ সেপ্টেম্বর
১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে প্রায় রোজই সিবিআই দফতরে হাজির দিয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। গত পনের দিন ধরে রোজই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতেন সন্দীপ।
গত ১৬ অগস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সন্দীপকে। গত শনি এবং রবিবার শুধু তাঁকে জেরা করা হয়নি। সোমবার আবার তাঁকে তলব করা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বার করে সিবিআই আধিকারিকেরা সন্দীপকে নিয়ে যান নিজ়াম প্যালেসে। তার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপকে।



গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর গত ১৫ অগস্ট তাঁকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই। সেই দিন হাজিরা দেননি সন্দীপ। পর দিন অবশ্য সল্টলেকের রাস্তা থেকে সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠেন তিনি। সেই গাড়িতে সিবিআইয়ের এক আধিকারিকও ছিলেন। সন্দীপ যান সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে। তার পর থেকে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত টানা ৯ দিন তাঁকে তলব করা হয় সিজিওতে। দৈনিক ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সিবিআই দফতরে থাকতে হয়েছিল সন্দীপকে।
সোমবারও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। কিন্তু সন্ধেয় তাঁকে গাড়িতে নিয়ে সিজিও থেকে বের হয় তিনটি গাড়ি। তাঁকে নিয়ে সিবিআইয়ের গাড়ি বেরিয়ে যায়। অবশেষে তাকে নিয়ে সিবিআইয়ের গাড়ি পৌঁছে যায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের অফিসে। তখনই মনে করা হয়েছিল জেরায় সিবিআইয়ের হাতে তোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। তার ভিত্তিতেই সন্দীপকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিজাম প্যালেসে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই জানা যায় গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপকে।