আরজি কর ঘটনার পর থেকে একের বিষাদের সুর নামছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে।
নিজস্ব প্রতিনিধি :কলকাতা :প্রিয়াংকা বনিক :১ সেপ্টেম্বর
আরজি কর ঘটনার পর মমতার সরকারকে সব ক্ষেত্রে দোষারোপ করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় দোষীদের সামনে আনতে মমতার সরকার নাকি সিকিউরিটি দিচ্ছে অভিযুক্তদের এমন ও শোনা যাচ্ছে।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় বাংলা তথা সমগ্র দেশ উত্তাল তখন রাজ্য তৃণমূলে বিরাট ধস নামতে দেখা গেল।
দল থেকে ইস্তফা দিলেন অসমের তৃণমূল সভাপতি রিপুন বোরা । ইতিমধ্যে তিনি দলে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিও লিখেছেন।
সেই চিঠিতে রিপুন বোরা লিখেছেন, ‘অসম তৃণমূলের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে তবে বেশ কয়েকটি পুনরাবৃত্ত ইস্যু আমাদের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করেছে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দল হিসাবে তৃণমূলের ধারণাও রয়েছে। এই উপলব্ধি মোকাবেলা করার জন্য, আমরা বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছিলাম, যেমন জাতীয় স্তরে একজন অসমিয়া নেতার প্রয়োজনীয়তা, টালিগঞ্জে ভারতরত্ন ডঃ ভূপেন হাজারিকার বাসভবনকে হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করা এবং কোচবিহারের মধুপুর সত্রাকে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা। গত দেড় বছর ধরে আমি এই উদ্বেগগুলি দূর করার জন্য আপনার এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদির সাথে সাক্ষাতের জন্য বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, আমি ব্যর্থ হয়েছি।”
রিপুন বোরা জানিয়েছেন যে তিনি দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে অসম তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এই সময়কালে তিনি রাজ্য জুড়ে মানুষের সাথে ব্যাপকভাবে মতবিনিময় করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, অসমের বহু মানুষ তৃণমূলকে পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দল হিসাবে দেখছেন। অসমের মানুষ অন্য রাজ্যের কোনও দলকে মেনে নিতে রাজি নয়। এই চ্যালেঞ্জগুলি এবং পর্যাপ্ত সমাধানের অভাবের কারণে আমি একটি তৃণমূল থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
রাজ্যস্তরে তৃণমূলের অন্দরে যে অনেক গলদ আছে তা নতুন করে তুলে ধরেছেন রিপুন বোরা। অনেক ইস্যু নিয়েও যে দল কথা বলতে রাজি নয় সেটা নিয়েও হাটে হাড়ি ভেঙেছেন রাজ্য সভাপতি। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য বলেছেন, অসমে তৃণমূলকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে তিনি দলীয় সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
Post Comment