ধুয়ে মুছে সাফ বিরোধী শিবির। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এমনই ফলাফল করলো বিজেপি
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রিয়াংকা বনিক : ১৩ আগস্ট
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে গেরুয়া ঝড়। ভোটগণার চকালালীনই রাজ্যজুড়ে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি। এর মধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। বাকি জেলাগুলিতেও বিজেপির জয়জয়কার। সব মিলিয়ে ফের একবার পঞ্চায়েত ভোটে ত্রিপুরায় ব্যাপক সাফল্যের পথে ভারতীয় জনতা পার্টি।
গত ৮ অগাস্ট ত্রিপুরায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ হয় এবং ১২ আগস্ট হয় ভোট গণনা ।
গোটা রাজ্যে বিজেপির জয়জয়কারের মধ্যেই অন্যচিত্র দেখা গিয়েছে ঊনকোটি জেলায়। কৈলাশহর গৌরনগর আরডি ব্লকের অন্তর্গত ২০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে মোট সাতটির দখল নিয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। এই পঞ্চায়েতগুলি হল-খাওরাবিল, মাগুরউলি, লাটিয়াপুড়া, রাঙাউটি, পশ্চিম ইয়াজেখাওরা, পূর্ব ইয়াজিখাওরা এবং ইরানি।
ভোট পড়েছিল প্রায় ৮০ শতাংশ। সোমবার তার ভোটগণনা ছিল। সবার প্রথমে শেষ হয় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ভোটগণনা। সেখানে ১৭টি জেলা পরিষদ আসনের সবকটিতে জিতেছে বিজেপি। সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের দখলে। শুধুমাত্র ডুকলি ব্লকে একটি আসনে তিপ্রামথা পার্টির এক প্রার্থী জিতেছেন।
জানা যায় আমবাসা জেলায় কয়েক জায়গায় সিপিআইএম প্রার্থী জিতেছেন। তবে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান বিপুল।
পশ্চিম জেলার খয়েরপুর পুরাতন আগরতলা ব্লকে জেলা পরিষদের তিনটি আসনেই জয়ী হন বিজেপি প্রার্থীরা। ঊনকোটি জেলার চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির ন’টি আসনে ভোট হয়েছিল। রাত পর্যন্ত তিনটি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তিনটিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। ধলাই জেলার জেলা পরিষদের দু’টি আসনেও জয়ী গেরুয়া শিবির।
ত্রিপুরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাত্র ২৯ শতাংশ আসনে নির্বাচন হয়েছে। কারণ ৭১ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিতে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। পঞ্চায়েত সমিতির ৫৮ শতাংশ আসন ও জেলা পরিষদের ১৭ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসকদল। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেই রাজ্যে ১০ হাজার সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ হবে।
বিজেপির দাবি, বিরোধীদের কোনও সংগঠন না থাকায় প্রার্থী খুঁজে পায়নি তারা। পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে হুমকি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির।
তবে এই ফলাফল এ বিরোধী শিবির তাদের দল শক্তিশালী করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Post Comment