
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা : প্রিয়াংকা বনিক :২৯ অক্টোবর
আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো গোটা ভারতবর্ষে । যেসময়ে জুনিয়ার ডাক্তাররা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অনশনে বসেছিলেন, সেই সময় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে সিলড বক্সে রক্তমাখা গ্লাভস ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই প্রসঙ্গ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময়েও তুলে ধরেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানালেন, তদন্তে উঠে এসেছে হাসপাতালে যে গ্লাভসগুলিতে রক্তের দাগ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়, সেগুলি আদতে রক্তের দাগ নয়।

তার প্রমাণ বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবে পাওয়া গিয়েছে। তাহলে সেগুলি কীসের দাগ, সেটা জানতে ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে নমুনাগুলি।তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে এসেছে। যে বাক্সে গ্লাভসগুলি এসেছিল তার ব্যাচ নম্বরের সঙ্গে প্যাকেটের নম্বরের মিল নেই। তাহলে এই গ্লাভসগুলি মেডিক্যাল কলেজে ঢুকল কীভাবে আর সেগুলি অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত পৌছঁল কীভাবে তা জানতে আরও তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন আরজি করের উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়।গত ১০ অক্টোবর এক জুনিয়র ডাক্তার দাবি করেন, জরুরি বিভাগে HIV আক্রান্ত এক রোগীকে পরীক্ষা করছিলেন তিনি। সিল করা গ্লাভসের প্যাকেট খুলতেই, তার থেকে দাগ লাগা গ্লাভস বের হয়। চিকিৎসকের দেখেই সন্দেহ হয় এটা দাগ রক্তের। বিষয়টি সামনে আনেন তিনি।অন্যদিকে, সোমবারই এসএসকেএম হাসপাতালে জং ধরা কাঁচির ছবি প্রকাশ্যে আসে। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রসূতির পেট কাটার সময় জং ধরা কাঁচি ভাঙার অভিযোগ ওঠে। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন জুনিয়র ডাক্তার রশ্মি চট্টোপাধ্যায়। কাঁচি কেলেঙ্কারি সামনে আসতেই সরব হয়েছেন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা।