×

ত্রিপুরা রাজ্যের কাছে বিদ্যুৎ বিলের ১৬১ কোটি টাকা বকেয়া বাংলাদেশের

ত্রিপুরা রাজ্যের কাছে বিদ্যুৎ বিলের ১৬১ কোটি টাকা বকেয়া বাংলাদেশের

*নিজস্ব প্রতিনিধি : ত্রিপুরা : প্রিয়াংকা বনিক : ১০ ডিসেম্বর

ইলেকট্রিক বিলের ১৬১ কোটি টাকা ত্রিপুরার কাছে বকেয়া বাংলাদেশের। ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেডের এই টাকা পাওয়ার কথা। গোটা বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ।এই বিষয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন… ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশকে। এর ফলে রাজ্যের বাসিন্দাদের দৈনিক চাহিদা মেটাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তরকে।সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে বকেয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১৬১ কোটি।বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হল এনভিভিএন। তারাই ত্রিপুরার পাওয়ার প্রোজেক্ট থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি দেখে এবং অর্থ সংগ্রহ করে। মন্ত্রী বলেন, এত বিপুল টাকা বকেয়া থাকা সত্ত্বেও, টিএসইসিএল প্রতিবেশী দেশটিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বন্ধ করেনি।তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি টিএসইসিএল অনুরোধ করেছে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে। কারণ বাংলাদেশ বর্তমানে বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। এর ফলে সেই দেশে গ্রাহক হয়রানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।ওই আধিকারিক বলেন, আলোচনা চলছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি এবং ছাড়পত্র আবশ্যক। পুরো বিষয়টি কার্যকর করতে হলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করতে হবে। ২০২০ সালে টিএসইসিএল নেপালে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল। তবে নেপাল নতুন করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।২০১৬ সালের মার্চ মাসে ত্রিপুরার মালিকানাধীন ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি (ওটিপিসি) বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু করে। মাঝেমধ্যে তা বাড়িয়ে ১৬০ মেগাওয়াটও করা হয়। টিএসইসিএলের এক আধিকারিক বলেন, ২০১৬ সালে প্রথম চুক্তির পর আমরা আরও দু’বার এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছি বাংলাদেশেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি অব্যাহত রাখার জন্য।

Post Comment