ইলিশ প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি :ভারত বাংলাদেশ : প্রিয়াংকা বনিক : ১৬ আগস্ট
এই বছর বছর ইলিশ মাছ নিয়ে সমস্যা যেন শেষই হচ্ছে না। কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দিঘা মোহনার ইলিশ মাছ বাজারে মিললেও পদ্মার ইলিশের দেখা নেই।এমনিতে বাংলা তথা সমগ্র ভারতে পদ্মার ইলিশ রফতানি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে মন খারাপ ইলিশ প্রেমীদের।
আদৌ এই বছর পদ্মার ইলিশ ঢুকবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
তবে এসবের মাঝেই ইলিশ মাছ নিয়ে আরও খারাপ খবর সামনে এল।
বর্ষার মরসুম চলছে। আর এই মরসুমেই নাকি দেখা নেই ইলিশ মাছের। যে কারণে মহাফাঁপরে পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মাছ বিক্রেতারা। বাজারে যাও বা ইলিশ মিলছে তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বেশি দাম হওয়ায় ক্রেতারাও বাজার থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। ইলিশের বদলে চিংড়ি, পমফ্রেট, কাতলা, রুই নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মাছ প্রেমীরা।
এক মৎস্যজীবী জানাচ্ছেন, ‘অনেক দিন পর সাগরে নামছি, আবহাওয়া খারাপ। তাই দু’দিন ছিলাম সাগরে, মাছ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। বড় ইলিশের দেখা নেই, ছোট কয়টা যা পেয়েছি। বিক্রি করলে তাতে বাজারের খরচা হবে না। আর যে আশা নিয়ে সাগরে যাওয়া, সে অনুযায়ী বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। দু-তিন বছর সাগরে কোনও বড় ইলিশ পাচ্ছি না। মালিকের কাছ থেকে অনেক টাকাও নিয়েছি। যদি সাগরে মাছ পেতাম, তাহলে ধারদেনা শোধ করে সংসার চালাতে পারতাম।’
এদিকে খারাপ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মাথায় হাত পড়েছে বাংলাদেশের বরগুনার মৎস্যজীবীদের। সকলের মুখে একটাই কথা, সমুদ্রে, পদ্মায় নামলেও কাঙ্খিত পরিমাণে ইলিশ মাছ জালে উঠছে না।
সেখানকার আবহাওয়া খারাপ থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে সকলকে। পাইকারি বাজারে এক কেজির চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ মণপ্রতি ৬৫-৭০ হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৫৫-৬০ হাজার এবং ৭০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪০-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মাছ না পাওয়ার জন্য ভারতীয় মৎস্যজীবীদেরও দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ধার দেনা করে সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন জেলেরা। সাগরে মাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে, কিছু ট্রলার মাছ পাচ্ছে। বড় কোনও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ছোট ছাড়া কিছু মিলছে না।
Post Comment