বিরল প্রজাতির একটি প্রাণী উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি :ত্রিপুরা :প্রিয়াংকা বনিক :১ সেপ্টেম্বর
বিরল প্রজাতির একটি প্রাণী উদ্ধার করলেন পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয় আগরতলা পুরানো জেল সংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ প্রাণীটিকে ফরেস্ট দপ্তরের হাতে তুলে দেয় এবং তাকে নিয়ে যাওয়া হবে সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে।
তবে দেখে মনে হয়েছে এটি ভিন্ন প্রজাতির বিড়াল
তবে জানুন এটি কোন প্রজাতির বিড়াল। কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে এর আঘাত।
আইবেরিয়ান লিংক্স প্রজাতির বিড়ালকে পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ বিড়ালগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বহুদিন ধরেই এই বিড়াল প্রজাতিকে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রেখেছিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার । আশার কথা হলো, একটি নতুন প্রতিবেদনে এই বিড়াল প্রজাতি আর বিপন্ন নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার আইইউসিএন আইবেরিয়ান লিংক্স বিড়ালকে ‘বিপন্ন’ প্রাণীর তালিকা থেকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ প্রাণীর তালিকায় তুলে নিয়েছে। ২০০১ সালে সারা পৃথিবীতে এই প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬২। তবে সেই সংখ্যা বেড়ে ২০২২ সালে প্রাপ্তবয়স্ক আইবেরিয়ান লিংক্স বিড়ালের সংখ্যা হয় ৬৪৮। আর কম বয়সী ও প্রাপ্তবয়স্ক মিলিয়ে এই বিড়ালের সংখ্যা এখন ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বিড়াল প্রজাতিটির নামের সঙ্গে আইবেরিয়ান যুক্ত হওয়ার কারণ, এরা স্পেন ও পর্তুগালজুড়ে বিস্তৃত আইবেরিয়ান অঞ্চলে বিচরণ করে। এক জরিপে দেখা গেছে, অঞ্চলটির অন্তত ১৪টি স্থানে বর্তমানে ওই বিড়াল প্রজাতি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে এবং এদের সংখ্যা বাড়ছে। ওই ১৪টি স্থানের ১৩টি পড়েছে আইবেরিয়ার স্পেনের অংশে এবং বাকি স্থানটি পর্তুগালের অংশে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একসময় আইবেরিয়ান অঞ্চলে এই বিড়ালটিকে অহরহই দেখা যেত। কিন্তু গত শতকের ’৬০-এর দশক থেকে এদের সংখ্যা কমতে শুরু করে। মূলত বাসস্থান ধ্বংস, পাচার হয়ে যাওয়া এবং সড়ক দুর্ঘটনার কারণে এই বিড়াল প্রজাতিটির বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
কিছু দিন আগে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন কুর্তিতে। বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য তো বটেই, আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। অনেকে উদ্ধারকৃত বিড়াল ছানাগুলোকে বাঘের বাচ্চা বলে সন্দেহ করছেন। তাঁদের ধারণা, বাচ্চাগুলি এখানে থাকলেও তাদের বাঘিনী মা আশপাশ কোথাও রয়েছে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ছুটে এসে এগুলো বাঘের বাচ্চা নয় বললে, হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন স্থানীয় আতঙ্কিতরা।
এছাড়া বিরল প্রজাতির প্রানী উদ্ধার দক্ষিন চড়িলাম চৌমুহনী পাড়া এলাকা থেকে। স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান এইদিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর দেখতে পান রাস্তার পাশে একটি দোকানের সামনে এই বিরল প্রজাতির প্রানীটি পড়ে রয়েছে। বিরল প্রজাতির প্রাণীটির নাম কি তা এলাকার কেউ জানে না।
এলাকার কেউ আগে কোন সময় এই ধরনের প্রানী দেখে নি। বিরল প্রজাতির প্রানি উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে উৎসুক জনতা ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে। স্থানীয়রা আরও জানান এই বিরল প্রজাতির প্রাণীটির পাখা রয়েছে। পরবর্তী সময় স্থানীয়রা বন দপ্তরের কর্মীদের খবর দেয়। বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা বিরল প্রজাতির প্রানীটিকে বন দপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেয়। তবে যতদূর জানা যায় প্রাণীটির নাম সুগার গ্লাইডার।
Post Comment