×

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশের : ৯ আগস্ট

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তিনি দেশ ত্যাগ করবার পরেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে খবর।
বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু গোষ্ঠীর মানুষদের ওপর অত্যাচার চলছে।
জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হিন্দুদের মন্দির। হিন্দু মানুষদের বাড়িতে ঢুকে চালানো হয় অত্যাচার।

আন্দোলনের জেরে বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার পালাবদলের সাক্ষী থেকেছে ওপার বাংলা। বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে বাড়ছে বাংলাদেশিদের ভিড়। এবার শোনা গেল, শরণার্থীদের জন্য দরজা খোলা হবে নাকি হবে না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বাংলাদেশের হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি গঠন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই খবর জানিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি আজ তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মোদি সরকার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং সেখানে বসবাসকারী অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা উচিত করতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখবে। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন এডিজি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স”।

গতকাল রাত আটটায় বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। সেখানে সেই সরকারের প্রধান মুখ নোবেলজয়ী মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান হয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশে আর কোন দাঙ্গা বা হিংসার ঘটনা ঘটবে না। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপরে যে অত্যাচার হয়েছে তা আর হবে না। কিন্তু ইউনূসের এই বক্তব্যের পরেও হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পরে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভারতে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে।

আর সেই কারণেই সেই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকাতে বিএসএফের নজরদারি আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে কোনভাবেই যেন অনুপ্রবেশ না ঘটে। আরে এই অনুপ্রবেশ না ঘটার প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশে যে আন্দোলন চলছিল সেই আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল থেকে ১২০০ জনেরও বেশি বন্দী পালিয়ে গিয়েছেন

এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত এবং জঙ্গি নেতা বলে পরিচিত। তাই এই সমস্ত জঙ্গিরা যাতে কোনোভাবেই ভারতে ঢুকে পড়তে না পারে সেই কারণেই বাংলাদেশী সীমান্তে সমস্ত বর্ডার ইতিমধ্যেই সিল করে দিয়েছে ভারত। এইসবের মধ্যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

অপর দিকে ড. ইউনুস তার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের জনগণের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান এবং দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন যে কারও ওপর হামলা হবে না। তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

Post Comment