
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—অর্থাৎ AI, কীভাবে ধীরে ধীরে মানুষের জায়গা নিচ্ছে কর্মক্ষেত্রে, বিশেষ করে এইচআর বা মানবসম্পদ বিভাগে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০টি এইচআর পদ এআই এজেন্ট দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। আধুনিক সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামের সাহায্যে এখন কর্মী নিয়োগের বিশ্লেষণ, কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, এমনকি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র প্রক্রিয়াকরণের মতো কাজগুলো অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এবং নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করছে এই প্রযুক্তি।
বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম-এর সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, পুনরাবৃত্তিমূলক এবং নিয়মিত প্রক্রিয়াভিত্তিক কাজগুলিতে এআই এবং অটোমেশন ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে তার বক্তব্যে একটি আশার সুরও রয়েছে। তিনি বলেন, অটোমেশনের মাধ্যমে যে সম্পদ সাশ্রয় হচ্ছে, তা এখন অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে যেমন সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং-এর মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বাড়ছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে—এই পরিবর্তনে সাধারণ কর্মীদের ভবিষ্যৎ কী?
এই প্রশ্নের উত্তরে আইবিএম-এর প্রধান মানবসম্পদ আধিকারিক, নিকেল ল্যামোরেক্স বলেন, “সব চাকরি এআই খেয়ে ফেলবে—এই ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। বাস্তবে, মাত্র কিছু নির্দিষ্ট পদই প্রতিস্থাপিত হচ্ছে, যা সহজেই অটোমেট করা যায়।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই কিছু চাকরিকে ঝুঁকিতে ফেললেও, সেই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের চাকরির সম্ভাবনা। যেমন—এআই পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ, এবং সম্পর্কিত প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রগুলিতে দ্রুত বাড়ছে চাহিদা।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এআই চাকরি কেড়ে নিচ্ছে ঠিকই, তবে নতুন দিগন্তও খুলছে প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের পথে।