
আগরতলার হোলিক্রস স্কুলকে ঘিরে বিতর্ক।আগরতলার খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোলিক্রস স্কুলের বিরুদ্ধে সময়ের আগেই সাম্মাসিক পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন একাধিক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় অভিভাবক মহলে।অভিযোগ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বিভিন্ন শ্রেণিতে সাম্মাসিক পরীক্ষা শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা হতবাক হয়ে যান। অভিভাবকদের অভিযোগ, পরীক্ষার পূর্বঘোষিত সময়সূচি উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা নেওয়া হলে, ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুতির উপর চাপ তৈরি হয়।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ হোলিক্রস স্কুলে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন ত্রিপুরা কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস-এর এক প্রতিনিধি দল। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনার পর স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন যে, ভবিষ্যতে সময়ের আগেই পরীক্ষা নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটবে না।প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুদের মানসিক ও শিক্ষাগত সুরক্ষা রক্ষায় এই ধরনের অপ্রত্যাশিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শিশু অধিকারের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে কাজ করতে হবে।অন্যদিকে, হোলিক্রস স্কুলের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত এবং ভুল বোঝাবুঝির ফল। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে অভিভাবকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ও প্রাক-নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই সকল পরীক্ষা নেওয়া হবে।ঘটনার পর থেকে এলাকায় অভিভাবকরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও, তাঁরা দাবি তুলেছেন যেন শিক্ষা দপ্তর থেকেও কড়া নজরদারি রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।উপসংহার:এই ঘটনাটি আবারো স্মরণ করিয়ে দিলো, শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তার সঙ্গে জড়িত শিশুদের অধিকার, প্রস্তুতি এবং মানসিক সুস্থতাও। শিশুদের প্রতি সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব।