ইরানের পর এবার পাকিস্তানের দিকে নজর ইজরায়েলের! উত্তপ্ত হল আন্তর্জাতিক মহল
ইরানের পর এবার পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচীকে লক্ষ্য করে কড়া হুঁশিয়ারি দিল ইজরায়েল। ইজরায়েলের প্রাক্তন উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতা মেইর মাসরি এক্স প্ল্যাটফর্মে আরবি ও উর্দু ভাষায় একটি পোস্টে জানিয়েছেন – “ইরানের পর এবার আমরা পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচী বন্ধের চিন্তা করছি।”এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহু মানুষ। বিশেষ করে পাকিস্তানের নাগরিক ও সমর্থকরা এই মন্তব্যকে উসকানিমূলক বলে কড়া সমালোচনা করেছেন।
ইজরায়েলের প্রাক্তন উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী নেতা মেইর মাসরি আরবি ও উর্দু ভাষায় এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন—“ইরানের পর এবার আমরা পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচী বন্ধের চিন্তা করছি।” এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়ে পড়ে বিতর্কের ঝড়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই মেইর মাসরির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। কেউ বলেন, এটি একটি উস্কানিমূলক হুমকি, যা দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। কেউ কেউ আবার বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু সক্ষমতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, এবং এই ধরনের হুমকিতে দেশটির মনোবল দুর্বল হবে না।
এই ঘটনার পটভূমিতে রয়েছে ইজরায়েল ও ইরানের চলমান উত্তেজনা। বর্তমানে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইরানের বেশ কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলকে। তাঁর কথায়—“ইজরায়েলের উদ্দেশ্যে আমাদের স্পষ্ট বার্তা, ইরানের দিকেই তাকাও, পাকিস্তানের দিকে তাকানোর সাহস কোরো না। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি এবং যেকোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ও সক্ষম।”তিনি আরও বলেন, “যেভাবে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার সময় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনভাবেই সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আজও আমরা প্রস্তুত।”
উল্লেখ্য, অতীতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছিল। পাল্টা হামলা করেও ভারতের সামনে একাধিকবার পরাস্ত হয়েছে পাকিস্তান। বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতি বজায় থাকলেও পরিস্থিতি যে দ্রুত বদলে যেতে পারে, তা ইজরায়েলের হুমকির পর বোঝা যাচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের এই নতুন উত্তেজনা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কতটা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, তা এখন সময়ই বলবে। আপাতত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর রয়েছে ইজরায়েল ও পাকিস্তানের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
Post Comment