×

আরজি কর কাণ্ডে যুক্ত এক রহস্যময়ী মহিলা ! কে উনি?

আরজি কর কাণ্ডে যুক্ত এক রহস্যময়ী মহিলা ! কে উনি?

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা :প্রিয়াংকা বনিক : ২ সেপ্টেম্বর

আর জি কর ঘটনার এতদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত মূল দোষীদের জালে তুলতে পারে নি সিবিআই।
আরজি কর কাণ্ডে এবার নতুন চমক উঠে এল। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এবার এক ‘রহস্যময়ী’ মহিলা সামনে এসেছেন।

জানা গিয়েছে যে, তিনি অ্যাসিসট্যান্ট সুপার। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, ফোন করে প্রথমে মেয়ের অসুস্থতার কথা নির্যাতিতার মা বাবাকে বলেন আরজি করের ওই মহিলা অ্যাসিসট্যান্ট সুপার।

পরে ফোন করে আত্মহত্যার কথা বলেন তিনি। এবার তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
অন্যদিকে আরজি করে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সিবিআই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে পনেরো দিন জেরা করেছে। হয়েছে পলিগ্রাফি টেস্ট। তাঁর ভয়েস স্যাম্পেলও পরীক্ষা করা হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা সন্দীপ ঘোষের বিবৃতিতে অসঙ্গতিগুলি যাচাই করেছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন নির্যাতিতার বাবা-মাকে বিভ্রান্ত করেছিল এবং কেন তাঁদেরকে দেহ দেখতে দিতে দেরি করা হয়েছিল, সেব্যাপারে একাধিকবার প্রশ্ন করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর সন্দীপ ঘোষ এই সব প্রশ্ন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন।

প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট সকাল সাড়ে নটায় দেহটি সামনে আসে। পুলিশকে তা জানানো হয় ১০.১০-এ। কেন এই ৪০ মিনিটের ব্যবধান, সেই প্রশ্ন উঠছে বারে বারে। সকাল ১০.২০ নাগাদ খবর পাওয়ার পরে তিনি টালা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সময় তাঁকে থানা থেকে জানানো হয়, পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষ আরও জানিয়েছেন, তিনি মেডিক্যাল সুপার, চেষ্ট মেডিসিনের প্রধান এবং রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকেও হাসপাতালে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।

তবে ঘটনায় পুলিশের এফআইআরের ভাষা নিয়ে তদন্তকারীরা বিভ্রান্ত। কারণে সেখানে বলা হয়েছে অজানা দুষ্কৃতীদের খুনের সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ধর্ষণ শব্দটি। তবে আইনজীবীরা বলছেন. এখানে ইচ্ছাকৃত ধর্ষণ শব্দটি আইনত অর্থহীন। কারণ একটি ধর্ষণ বা ধর্ষণ ও হত্যা অনিচ্ছাকৃত হতে পারে না। এছাড়াও দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশকে জানাতে কেন দেরি হল, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সিনিয়র আইনজীবীরা।

তবে এবার এই প্রশ্নও উঠছে যে , মা বাবাকে কেন আসল সত্য কথা জানানো হয়নি ?

Post Comment

You May Have Missed