জিবি হাসপাতাল থেকে কল্পনা দাসের নিখুঁজের ঘটনায় উত্তপ্ত পূর্ব গকুলনগর।*
* নিজস্ব প্রতিনিধি :ত্রিপুরা : প্রিয়াংকা বনিক : ৭ জানুয়ারি জানা গেছে জিবি হাসপাতাল থেকে গত ৩ তারিখ উধাও এক বেসরকারী শিশু আবাসিকের মধ্যবয়সী আয়া কল্পনা দাস। জিবি ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করা হলেও আজও মিলেনি তার হদিশ। মেয়েকে ফিরে পেতে দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে বৃদ্ধা মাকে। কোথায় বেহদিশ হয়ে গেলেন আয়া কল্পনা দাস ? নীরব পুলিশ, সরব পরিবার। পুলিশের নীরবতায় দেখা দিয়েছে ঘোর রহস্য। ঘটনা গকুল নগরের।৫ দিন হয়ে গেল ও নিখোঁজ মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়নি, চাঞ্চল্য গকুলনগরে। জানা গেছে গত ৩ বছর ধরে পূর্ব গকুলনগর এলাকার উমেশ চাইল্ড হোমে কর্মরত ছিল কল্পনা দাস নামে এই মাঝ বয়সি মহিলা। হোমের একটি শিশু অসুস্থ হলে রাজধানী আগরতলা জিবি হাসপাতাল শিশু থেকে ভর্তি করা হয়। শিশুটির দেখাশোনার জন্য উমেশ চাইল্ড হোমের পক্ষ থেকে কল্পনা দাসকে জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ৩ তারিখ হাসপাতালের পক্ষ থেকে শিশুটিকে ছুটি দেওয়া হলে জিপি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কল্পনা। হুমে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জিবি ফারি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। এদিকে মেয়েকে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে মেয়ের মা বাবা। আজ এলাকার সমস্ত মহিলারা চাইল্ড হোমের মূল ফটকের সামনে একত্রিত হয়। উত্তেজিত হয়ে পড়ে গোটা এলাকা খবর পেয়ে ছুটে আসে বিশালগড় থানার পুলিশ ও কমলা সাগরের মণ্ডল সভাপতি কাজল সরকার সহ জনপ্রতিনিধিরা। তারা চাইল্ড হোমের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজ মহিলা উদ্ধারের দাবী জানান। হোম কর্তৃপক্ষরা জানান তারা তাদের মত করে চেষ্টা করছে মহিলাকে উদ্ধার করতে। এদিকে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে।
Post Comment