×

মাঙ্কিপক্সের বিপজ্জনক স্ট্রেনে আক্রান্ত কেরলের যুবক*

মাঙ্কিপক্সের বিপজ্জনক স্ট্রেনে আক্রান্ত কেরলের যুবক*

নিজস্ব প্রতিনিধি : ইন্ডিয়া : প্রিয়াংকা বনিক : ২৩ সেপ্টেম্বর

ভারতীয়দের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে কয়েক সপ্তাহ ধরেই। তবে এতদিন কারও দেহেই ধরা পড়েনি বিপজ্জনক ক্লেড ওয়ান স্ট্রেন। ক্লেড ওয়ান স্ট্রেনের সন্ধান মিলল কেরলের এক যুবকের দেহে। গত সপ্তাহে তাঁর মাঙ্কিপক্স ধরা পড়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ফিরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে ভারতে যাঁদের দেহে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছিল তাঁদের কেউই ক্লেড ওয়ানে আক্রান্ত ছিলেন না। জানা যাচ্ছে, কেরলের যুবকের দেহে ক্লেড ওয়ান বি স্ট্রেন মিলেছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। ভারতে এই স্ট্রেনে তিনিই প্রথমবার আক্রান্ত ব্যক্তি।বছর ৩৮-এর ওই রোগীর দেহে মাঙ্কিপক্সের ক্লেড ওয়ান বি মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। মাঙ্কিপক্সের ক্লেড ওয়ানের সাবক্লেড রয়েছে ওয়ান এ এবং ওয়ান বি। ও ছাড়াও ক্লেড ২-এর সাবক্লেড রয়েছে ২ এ ও ২ বি।

কঙ্গো-সহ কয়েকটি দেশে গত অগাস্টে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বাড়তে দেখেই ওয়ান এ ও ওয়ান বি স্ট্রেনের জন্য বিশ্বজুড়ে পাবলিক হেল্থ এমারজেন্সি জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।এর আগে, হরিয়ানার হিসরের ২৬ বছরের এক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছিল। তাঁর দেহে মিলেছিল ক্লেড টু স্ট্রেন। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ যে দেশগুলিতে বেশি, তারই একটিতে তিনি গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। টার্সিয়ারি কেয়ার আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি।এর আগে ২০২২ সালে এমপক্সের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বের ১১৬টি দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ। মূলত ১৫ বছরের কম বয়সি মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের প্রাদূর্ভাব বেশি। এই রোগটি এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। কঙ্গো, বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডা সহ আফ্রিকার অনেক দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত বাড়ছে বলে হু এর তরফে জানানো হয়েছে। বর্তমানে এর নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া, মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিনের ডোজের সরবরাহ বর্তমানে মহাদেশে কম আছে। তা উদ্বিগ্ন হু।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে মাঙ্কিপক্সের বেশি ঘটনা ঘটেছে। আফ্রিকায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৪ অগস্টের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের ৩৮,৪৬৫ টি ঘটনা ঘটেছে এবং ১৪৫৬ জন মারা গিয়েছে। পক্সের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীরা এটি সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করছেন।হু এর মহাপরিচালক ডঃ টেড্রোস আধানম জানান, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক স্তরে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আফ্রিকান দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে বিশাল জনগোষ্ঠী এই রোগে আক্রান্ত। সেখানকার মানুষ প্রায়ই এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যান। ফলে এতে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

Post Comment