
নিজস্ব প্রতিনিধি : ইন্ডিয়া : প্রিয়াংকা বনিক : ২৭ আগস্ট
ইতিমধ্যেই ঐতিহাসিক ইউক্রেন সফর শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে ফিরেই মঙ্গলবার (২৭ অগস্ট), রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী । প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছেন তিনি।
ইউক্রেন সফরের মাত্র ছয় সপ্তাহ আগেই মস্কোয় গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেই সফরের নিন্দা করেছিলেন জেলেনস্কি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমী শক্তিগুলিও এই সফরের সমালোচনা করেছিলেন। সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফর, ভারতের শান্তির পক্ষেল অবস্থানকে ফের জোরদার করেছে। সোমবারই, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফর এবং তাঁর শান্তির বার্তার প্রশংসা করেছেন বাইডেন।
এক্স-এ করা এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কিয়েভে সাম্প্রতিক সফরে তাঁর যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা তিনি রুশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। এদিনের ফোনালাপের পর প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বিশেষ এবং বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফর থেকে আমার অন্তর্দৃষ্টি বিনিময় করেছি।”
গত প্রায় আড়াই বছর ধরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। প্রবল পশ্চিমী চাপের মুখেও, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে, তিনি বারবার বলেছেন, আলোচনাই একমাত্র পথ। স্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য প্রয়োজনে ভারত সহায়তা করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তিনি জানান, ভারত এই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে “সক্রিয় ভূমিকা” নিতে তৈরি আছে। তিনি বলেন, “আমরা প্রথম দিন থেকেই নিরপেক্ষ ছিলাম না। আমরা একটি পক্ষ নিয়েছিলাম। আমরা শান্তির পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছি।” সংকট দূর করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করেছিলেন মোদী।
রাশিয়া সফরের মাস দেড়েক পর মোদী ইউক্রেন গিয়েছিলেন। সেখানে একটি বার্তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন— ভারত শান্তির পক্ষে। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত ভাবে এই যুদ্ধ থামাতে মোদী সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, যুদ্ধ চলাকালীন ভারত কোনও পক্ষ নেয়নি। তবে তারা নিরপেক্ষও ছিল না। ভারত বরাবর শান্তির পক্ষে ছিল এবং তা-ই থাকবে।