আরজি কর হত্যা কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব ত্রিপুরার মেডিকেল পড়ুয়া ও চিকিৎসক
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রিয়াংকা বনিক : ১৩ আগস্ট
৯ই আগষ্ট তরুণীকে গনধর্ষণের পরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আরজিকর হাসপাতালে। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কথাতেই আস্থা রাখতে পারছেন না কেউ।
৯ই আগষ্ট কলকাতার আর.জি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব রাজ্যের চিকিৎসক ও মেডিকেল পড়ুয়ারা।
এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযুক্তদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার জিবি হাসপাতাল এবং এজিএমসির চিকিৎসক ও মেডিকেল পড়ুয়ারা বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্ম বিরতির ডাক দেন।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কিছু তথ্য সামনে এসেছে। ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তরুণীর গলার কণ্ঠ এবং থাইরয়েডের হাড় ভেঙে গিয়েছে। এদিকে কলকাতার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সে জায়গায় প্রশ্,অভিযুক্তকে এমন কেউ সাহায্য করেনি তো, যাঁর চিকিৎসাবিদ্যায় জ্ঞান রয়েছে? একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, ওই তরুণী সে দিন চার তলার সেমিনার রুমে ছিলেন? সেই তথ্য অভিযুক্ত জানল কী ভাবে? সেদিন সেমিনার হলে ওই তরুণীর বদলে তো অন্য কেউও থাকতে পারত? তা হলে কি তাঁর সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটত? নাকি ওই তরুণীই ছিলেন টার্গেট? নিহত তরুণীর মা পুলিশের কাছে ‘সুপারি’ দিয়ে খুনের অভিযোগ করেছেন।
গত ৯ই আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসকের উপর ঘুমন্ত অবস্থায় হামলা চালিয়েছিলো কিছু ব্যক্তি। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরই প্রতিবাদে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছেন এজিএমসি ও জিবি হাসপাতালের চিকিৎসক ও মেডিকেল পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের অতিসত্বর শনাক্ত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ইতিমধ্যে চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুতে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে গোটা বাংলায়। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে জুনিয়ার চিকিৎসক থেকে পড়ুয়ারা সকলে। এই অমানবিক ঘটনা সামনে আসতে প্রত্যেকটি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাকা দেওয়া হয়েছে। ক্রমশ সেই ডাকে সাড়া দিতে শুরু করেছেন বাংলা মা ও মেয়েরা। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি, দ্রুত ঘটনায় জড়িতের সামনে এনে শাস্তি দেওয়া হোক।
Post Comment