ঘুমন্ত অবস্থাতেই গলা টিপে খুন করা হয়েছিল। আর জি করের ঘটনায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
িজস্ব প্রতিনিধি : প্রিয়াংকা বনিক : ১১ আগস্ট
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই গলা টিপে খুন করা হয়েছিল। মৃত্যু নিশ্চিত করার পরেই চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত।
আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছিল ঘুম থেকে টেনে তুলে। তারপর তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়!
এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর।
সূত্রের খবর এমনটাই। প্রাথমিকভাবে অনুমান, যে সময়ে ওই তরুণীর ওপর হামলা করা হয়েছে তখন তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।
আর জির হাসপাতালের সেমিনার রুমে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যা তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের তাতে খুন এবং ধর্ষণ উভয় তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সিসিটিভি যে সেমিনার হলে নেই সেটা আগেই জানত অভিযুক্ত।
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তরুণী যে সেমিনার হলে শুয়েছিলেন সেখানে রাত ৩টের কিছু পরে ঢোকে সঞ্জয়। এরপর অন্তত ৪৫ মিনিট পর তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, ঢোকার সময়ে তার কানে হেডফোন ছিল, কিন্তু বেরিয়ে আসার সময়ে ছিল না। পরে পুলিশ ওই হেডফোনের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করেছে। মোটামুটিভাবে স্পষ্ট, রাতের ওই সময়ে যে কেউ গভীর ঘুমের মধ্যেই থাকবে, আর সেই সুযোগেই এই জঘন্য কাজ করেছে সঞ্জয়।
তবে সঞ্জয় রায়কে পুলিশ আরজির হাসপাতালে কোনও দায়িত্ব দেয়নি বলেই জানিয়েছে। কয়েক মাস আগে আরজির হাসপাতালে গণ্ডগোলের সময় নাম জড়িয়েছিল এই সঞ্জয় রায়ের। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন আরজিকর হাসপাতালে এবং NRS হাসপাতালে রোগীদের দেখভাল করতেন হাসপাতালে।
জানা গেছে ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় ছিল সঞ্জয়। অন্যদিকে, সেমিনার হলে বসে অন্যান্য চিকিৎসক-পড়ুয়াদের সঙ্গে অলিম্পিক্সের ম্যাচ দেখছিলেন ওই তরুণী। তারপর রাতের খাওয়া সেরে সবাই চলে যায় এবং তিনি সেখানেই শুয়ে পড়েন। সেমিনার হলে ঢোকা-বেরনোর দুটো রাস্তা আছে। সামনের দিকের রাস্তার করিডরের সামনেই সঞ্জয়কে দেখে গেছিল সিসিটিভি ফুটেজে।
শনিবার তাকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়েছিল এবং বিচারক সঞ্জয়কে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত সঞ্জয় এর ফাঁসির দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা।
আরজি করের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে সারা দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করার দাবি ইতিমধ্যে তুলেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন।
এদিকে কলকাতার অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা আরজিকরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন। জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বরে ধর্নায় বসা আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা তাঁদের রাজনৈতিক দলের ব্যানার নামিয়ে তবেই যোগ দিতে বলেন। এই নিয়েই বাঁধে বচসা। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় আরজিকর হাসপাতাল চত্বরে।
2 comments