ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলার মেলাঘর থানা এলাকায় কুকুর হত্যার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। নলছড় বাগমারা এসসি কলোনীর বাসিন্দা ঝুটন বিশ্বাস নিজের পোষা কুকুরের মৃতদেহ অটোতে করে থানায় নিয়ে এসে তিন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে—অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই মনে করছেন, গ্রামাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের মনোযোগ যথেষ্ট নয়।
স্থানীয়দের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে পশু নির্যাতন ও প্রতিবেশী বিরোধ বাড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিক তদন্ত যথাসময়ে হয় না। ঝুটন বিশ্বাসের দাবি—এর আগে তাঁর আরও পাঁচটি কুকুর অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মারা গেলেও কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত করা হয়নি। অভিযোগ তোলেন যে, সাম্প্রতিক ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে—যদিও বিষয়টি এখনো প্রমাণিত নয়।
বিরোধী দলগুলোর দাবি, গ্রামীণ এলাকায় নিরাপত্তা এবং প্রাণী সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের আরও সক্রিয় হস্তক্ষেপ দরকার। তাঁদের কথায়, “শুধু ঘোষণায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপেই সাধারণ মানুষ আস্থা ফিরে পাবে।”
এদিকে, মৃত কুকুরের দেহ নিয়ে থানায় মালিকের উপস্থিতির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে। বহু নাগরিক সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন—এই ঘটনা মানুষের অসহায়তার প্রতিফলন, প্রশাসনের নির্লিপ্ততার নয় তো?
মেলাঘর থানার কর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে তদন্ত চলছে, তবে স্থানীয়দের অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন—“তদন্ত কি দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে, নাকি অন্য ঘটনার মতো সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে যাবে?”