বিশালগড়ে কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত অজয় দাস। ভাগ্নীর বিয়ের জন্য ধার করে আনা ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের এই ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। বহুদিনের তদন্তের পর শনিবার রাতে বিশালগড় থানার পুলিশ অফিসার প্রসেনজিৎ দেবনাথের নেতৃত্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ তাকে আদালতে তুলে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে জানা গেছে।ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। বিশালগড় থানাধীন রেল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। টাকার সেই অঙ্কটি ভাগ্নীর বিয়ের খরচের জন্য ধার করে আনা হয়েছিল। অভিযোগকারীর বক্তব্য ও ঘটনাস্থলের বিবরণ শুনে তদন্তে নামে বিশালগড় থানার পুলিশ। শুরু থেকেই মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
পুলিশ অফিসার প্রসেনজিৎ দেবনাথ নেতৃত্ব দেন তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহের কাজে।গোপন সূত্রে খবর আসে, অজয় দাস নামে এক ব্যক্তি এই পুরো পরিকল্পনার মূল কারিগর। সূত্র ধরে শনিবার রাতে বিশালগড় বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অজয় দাস পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। তার বয়ান থেকে স্পষ্ট, ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সে সরাসরি যুক্ত ছিল। তবে একা নাকি দলের সঙ্গে মিলেই পুরো ঘটনাটি ঘটিয়েছে— সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।পুলিশ জানিয়েছে, অজয়কে জেরা করে জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না। পুলিশের ধারণা, এই ছিনতাইয়ের পেছনে হয়তো আরও একটি গোষ্ঠী কাজ করেছে।
সেই সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু নথি, ফোনকল রেকর্ড এবং অভিযুক্তের পূর্ববর্তী অপরাধের তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এদিকে, গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল বিশালগড় ও আশপাশের এলাকায়। স্থানীয়দের মতে, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পুলিশ যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
আজ ধৃত অজয় দাসকে আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানানো হবে, যাতে আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করা যায়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।