
মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঐক্যের ডাক প্রদ্যোতের
ত্রিপুরার ইতিহাসে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের নাম উজ্জ্বল স্বর্ণাক্ষরে লেখা। আধুনিক ত্রিপুরার স্থপতি হিসেবে পরিচিত এই মহারাজার জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে এক আবেগঘন বার্তা দিলেন তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মন।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক পোস্টে প্রদ্যোত বলেন, “মহারাজা শুধুই একজন রাজা ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক দূরদর্শী নেতা। তাঁর অবদান আমরা ভুলে গেলে আমাদের আত্মপরিচয় ম্লান হয়ে যাবে।”
প্রদ্যোত মনে করিয়ে দেন, আজকের ভারতে রাজতন্ত্র না থাকলেও ইতিহাস কখনও মুছে যায় না। তিনি বলেন, “রাজাদের অবদান অস্বীকার করলে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেও অস্বীকার করতে হয়। মহারাজা বীর বিক্রম ছিলেন আধুনিক ত্রিপুরার রচয়িতা।”
তাঁর মতে, ভারতের সংবিধান চালু হওয়ার আগেই ত্রিপুরার নিজস্ব সংবিধান থাকা ছিল মহারাজার প্রগতিশীল মনোভাবের প্রমাণ। পাশাপাশি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কথাও স্মরণ করান প্রদ্যোত—“মহাত্মা গান্ধীর অনুরোধে তিনি তৎকালীন পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে নির্যাতিত মানুষদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।”
ভালোবাসা ও মানবতার বার্তা
আগামী ১৯ আগস্ট, মহারাজার জন্মবার্ষিকীতে ত্রিপুরাবাসীর জন্য প্রদ্যোতের বিশেষ বার্তা —
শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ
হাসপাতালে রোগীদের পাশে দাঁড়ানো
একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রদর্শন
তাঁর কথায়, “ঘৃণা নয়, ভালোবাসা শেখান। বিভাজন নয়, ঐক্য গড়ে তুলুন। এই দিনটিকে কেবল স্মরণ নয়, কর্মের মাধ্যমে উদযাপন করুন।”
প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মনের মতে, যদি মহারাজা আরও কয়েক বছর বেঁচে থাকতেন, তবে ত্রিপুরা আরও অগ্রসর হতো। তবে আজও তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব—ঐক্য, ভালোবাসা ও মানবিকতাকে ধারণ করে।
ত্রিপুরাবাসীর কাছে প্রদ্যোতের আহ্বান স্পষ্ট— “আসুন, মহারাজার স্বপ্নকে কর্মে রূপ দিই। ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলি এক মানবিক ত্রিপুরা।”