
স্বাধীনতা দিবসে অমরপুরে রক্তদান করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব
স্বাধীনতার ৭৯তম বার্ষিকী উদযাপনের আবহে ত্রিপুরার অমরপুরে এক অনন্য উদ্যোগের সাক্ষী হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ ও ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব এদিন স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির পাশাপাশি নিজ হাতে রক্তদান করে মানবসেবার এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
দিনের শুরুতে সাংসদ অমরপুরের সর্বং এলাকায় অবস্থিত শান্তিকালী আশ্রমে উপস্থিত হন। আশ্রমের প্রধান শ্রী চিত্ত মহারাজের সঙ্গেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এই আয়োজনে আশ্রমের স্কুল ও হোস্টেলে থাকা বহু জনজাতি ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। পতাকা উত্তোলনের পর সাংসদ শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান, তাঁদের সাথে কথা বলেন ও স্বাধীনতার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।
পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির পর বিপ্লব কুমার দেব অমরপুর টাউন হলে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়, যেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা রক্তদান করেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও স্বেচ্ছায় রক্তদান করে বলেন—
“এক ইউনিট রক্ত কোনও মানুষের জীবনের শেষ আশ্রয় হতে পারে। তাই সকলের উচিত সময় সময় রক্তদান করা, যাতে কারও জীবন রক্ষা পায়।”
তিনি আরও বলেন, রক্তদান শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন হওয়া উচিত, যাতে যুবসমাজও এগিয়ে আসে।
রক্তদান শিবির শেষে সাংসদ চড়িলাম মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত আরেকটি বিশেষ কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখানে সিআরপিএফ এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসে কর্মরত তিনজন সাহসী জওয়ানের বাসভবনে গিয়ে তিনি তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে কিছু সময় পরিবারের সঙ্গে কাটান এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য তাঁদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দিনভর একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর বিপ্লব কুমার দেব জানান, স্বাধীনতা দিবস কেবল স্মৃতিচারণের দিন নয়, এটি নতুন প্রেরণা ও দায়িত্ববোধের দিন। তিনি সবাইকে আহ্বান জানান— সামাজিক কাজে অংশ নিতে, মানবসেবায় এগিয়ে আসতে এবং বিশেষ করে রক্তদানের মতো জীবনরক্ষাকারী উদ্যোগে যুক্ত হতে।
অমরপুরে এই দিনটি শুধু জাতীয় উৎসবের আনন্দেই নয়, মানবিকতার উজ্জ্বল বার্তায়ও বিশেষ হয়ে রইল।