
ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বাসিন্দাদের জন্য বড় সুখবর। বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে জোলাইবাড়ী রেল স্টেশনে যুক্ত হলো কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের নতুন স্টপেজ। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন হয়, যা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিকে পূর্ণতা দিল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া, শান্তির বাজার মহকুমা শাসক মনোজ কুমার সাহা, জোলাইবাড়ী পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। স্টেশন চত্বরে উৎসবমুখর পরিবেশে, স্থানীয়দের উল্লাস ও কৃতজ্ঞতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর থেকে ট্রেনটি সাব্রুম পর্যন্ত গেলেও জোলাইবাড়ীতে কোনো স্টপেজ ছিল না। এর ফলে বহু যাত্রীকে বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যয় করে নিকটবর্তী অন্য স্টেশনে যেতে হতো।
এই সমস্যার সমাধানে মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া সরাসরি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। তার উদ্যোগে অবশেষে অনুমোদন মেলে, এবং বৃহস্পতিবার থেকে স্টপেজ কার্যকর হয়।
নতুন স্টপেজ চালুর দিনে স্টেশন চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এই সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী, সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহাকে ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া তার বক্তব্যে বলেন—
“ত্রিপুরায় বর্তমানে রেল, সড়ক, উড়ান এবং ইন্টারনেট পরিষেবায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে। জাতীয় সড়কও দ্রুত উন্নতমানের হচ্ছে। বিনা রাজনৈতিক সংঘাত বা প্রতিবাদ ছাড়াই উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে রাজ্য।”
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার নাগরিকদের স্বার্থে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জোলাইবাড়ীতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের স্টপেজ শুধু যাতায়াত সুবিধাই নয়, বরং বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখবে।
উদ্বোধনী দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সাব্রুম থেকে আগত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে জোলাইবাড়ী রেল স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো। যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই নতুন স্টপেজ তাদের সময় ও কষ্ট উভয়ই বাঁচাবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও আশা করছেন, এর ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ সহজ হবে এবং নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে।
জোলাইবাড়ীতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের নতুন স্টপেজ যুক্ত হওয়ায় দক্ষিণ ত্রিপুরার মানুষের যাতায়াত আরও সহজ ও স্বচ্ছন্দ হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা এই উন্নয়নকে রাজ্যের অগ্রযাত্রার বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।