×

সিপিআইএম-বিজেপি মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা

সিপিআইএম-বিজেপি মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা

আগামী ৯ জুলাই দেশব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে কালী বাজারে মিছিল ও পথসভা আয়োজন করেছিল সিপিআইএম ও গণমুক্তি পরিষদ (জিএমপি)। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শাসক দল বিজেপি ও বামফ্রন্টের মধ্যে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।সিপিআইএমের মিছিল ও সভার নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক নয়ন সরকার, জিএমপি-র সাধারণ সম্পাদক রাধা চরণ দেববর্মা, যুব সংগঠনের মহকুমা সভাপতি সুব্রত গোপ, মোহনপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক সুদীপ দেবনাথ এবং বামুটিয়া অঞ্চল সম্পাদক পার্থ দাস। সভায় বক্তারা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে “জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার” অভিযোগ তোলেন।তবে সভা চলাকালীনই ধর্মঘট বিরোধী স্লোগান দিয়ে একদল যুবক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে বিজেপির একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় সিপিআইএম তাদের সভা স্থগিত করে। পরে বিজেপিও মিছিল করে এবং বিধায়ক নয়ন সরকারকে কেন্দ্র করে নারী সংক্রান্ত একটি ইস্যুতে পথসভা করে প্রতিবাদ জানায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস এবং বামুটিয়া ফাঁড়ির ওসি অ্যান্থনি জমাটিয়ার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।বিজেপির বামুটিয়া মণ্ডল সভাপতি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর নীতিতে কাজ করছি। সাধারণ মানুষ উন্নয়নের পথে হাঁটছে, সেখানে বামপন্থীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তাই জনগণই তাদের প্রতিরোধ করেছে।”অন্যদিকে, জিএমপি-র সাধারণ সম্পাদক রাধা চরণ দেববর্মা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিজেপি জোট সরকারকে “নয়া ফ্যাসিবাদী সরকার” বলে কটাক্ষ করেন। তিনি কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায়ের প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনাতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।এই ঘটনাকে ঘিরে কালী বাজারে রাজনৈতিক উত্তেজনা এখনও অব্যাহত থাকলেও, প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Post Comment

You May Have Missed