ত্রিপুরায় ফের উত্তাল আন্দোলনে অনিয়মিত কর্মচারীরা! মহাকরণ অভিযানে পুলিশের বাধা
ত্রিপুরা রাজ্যে অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে শুক্রবার ফের জোরালো আন্দোলনে নামে ত্রিপুরা অনিয়মিত কর্মচারী মঞ্চ। সংগঠনের উদ্যোগে এদিন সকালে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল শুরু হয়, যার লক্ষ্য ছিল মহাকরণ। তবে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতেই পুলিশের কড়া ব্যারিকেডে মিছিল থেমে যায়।ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীরা শুরু করেন বিক্ষোভ। সেখানেই সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্য সচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি তুলে দেন প্রতিনিধি দল।দাবির মূল সুর কী ছিল?অনিয়মিত কর্মচারীদের দ্রুত নিয়মিত করণ, সমকাজে সমবেতন, অবসরপ্রাপ্ত অনিয়মিত কর্মীদের জন্য এককালীন ১০ লক্ষ টাকার অনুদান, এবং আংশিক সময়ের কর্মীদের পূর্ণ সময়ের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি prominently উঠে আসে ডেপুটেশনে।সংগঠনের কনভেনার, বিশিষ্ট আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকার অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও, ক্ষমতায় এসে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। তিনি বলেন, “২০১৮ সালের ৩১ জুলাই রাজ্য সরকারের এক নির্দেশিকা ছিল অনিয়মিত কর্মীদের জীবনে এক কালো দিন। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয় যে, নিয়মিত করণের জন্য পূর্ববর্তী যে সব সার্কুলার চালু ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি ছিল নতুন স্কিম চালু হবে, কিন্তু সাত বছরেও তার দেখা মেলেনি।”তিনি আরও জানান, হাজার হাজার শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিত করা হচ্ছে না। দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর কাজ করার পর অনেকেই খালি হাতে অবসর নিচ্ছেন—এটি মানবিকতার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন তিনি।আন্দোলনকারীদের মতে, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার অনিয়মিত কর্মীদের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট স্কিম চালু করেনি। তাই বাধ্য হয়ে এই মহাকরণ অভিযান ও ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছে।পুরুষোত্তম বাবু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে অনিয়মিত কর্মচারীরা।”এই কর্মসূচিতে অনিয়মিত কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রাজ্য প্রশাসনের প্রতি তাদের ক্ষোভ এবং দাবি আদায়ের দৃঢ় সংকল্পকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
Post Comment