×

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন! ইরান-ইজরায়েল সংঘাত ঘিরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা, রাশিয়ার ভূমিকা কী হবে?

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন! ইরান-ইজরায়েল সংঘাত ঘিরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা, রাশিয়ার ভূমিকা কী হবে?

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে আমেরিকা-ইজরায়েল এবং ইরানের দ্বন্দ্ব। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ঘনিয়ে আসছে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা।

📍 ঘটনার মূল ধারা:ইজরায়েল সরাসরি ঘোষণা করেছে—পরমাণু কেন্দ্রের পাশাপাশি এবার ইরানের শাসকদের বিরুদ্ধেও চালানো হবে সামরিক অভিযান।অন্যদিকে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিকে ‘বিপজ্জনক সীমালঙ্ঘন’ বলেছে ইরান। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে—আর কোনও কূটনৈতিক আলোচনা নয়, এবার একমাত্র পথ যুদ্ধ।

রাশিয়ার দিকে নজর:ইরানের বিদেশমন্ত্রী আজ রাতেই মস্কোয় পৌঁছতে পারেন, যেখানে পুতিন কিংবা রুশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে হবে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। রাশিয়া ইতিমধ্যেই ইরানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। আমেরিকার হামলাকে তারা বলেছে “অবিবেচক” এবং “বিপজ্জনক পরিস্থিতির অতিরঞ্জন”।তবে শুধু বিবৃতি নয়, ইরান চাইছে রাশিয়া সরাসরি যুদ্ধে নামুক, ঠিক যেমনভাবে আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে—ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত রাশিয়া কি এই মুহূর্তে আরও এক ফ্রন্টে যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত?

চিনের অবস্থান পরিষ্কার—তারা ইরানের পাশে রয়েছে। কিন্তু ইউরোপের বড় দেশ—জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন কিংবা ইতালি—সবাই ট্রাম্পের আগ্রাসনের সমালোচনা করলেও ইরানের পাশে সরাসরি দাঁড়াচ্ছে না।বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ বেধে গেলে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। পক্ষ বেছে নেওয়া তাদের জন্য হবে কঠিন। রাশিয়ার বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা:রাশিয়ায় বসবাসকারী বিপুলসংখ্যক ইজরায়েলি নাগরিক এই যুদ্ধকে ঘিরে অসন্তুষ্ট হতে পারেন। উপরন্তু, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে রুশ সেনা ও অস্ত্রভাণ্ডার ইতিমধ্যেই চাপের মুখে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে নামা মানেই—পশ্চিম ফ্রন্ট থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া, যা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে। রাশিয়া কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপরই নির্ভর করছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভাগ্য। মধ্যপ্রাচ্যের আগুন বিশ্ব রাজনীতিকে কোথায় নিয়ে যাবে, তা সময়ই বলবে।

Post Comment

You May Have Missed