
ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগে মৃত্যু হল এক মধ্যবয়সী মহিলার। মৃতার নাম শুক্লা দাস (৬০), তিনি ঢুপিরবন্ধ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। শনিবার সকালে পেটের তীব্র যন্ত্রণায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। তবে পরিবারের অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে তার।মৃতার ছেলে অমল দাস জানান, সিটি স্ক্যান করার পর থেকেই তার মায়ের পেট ফুলতে শুরু করে, এবং প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়েও সার্জারি বিভাগের ইনচার্জ ডাঃ শুভেন্দু ভট্টাচার্য রোগী দেখতে আসেননি বলে অভিযোগ। সময়মতো রোগীকে রেফার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের সদস্যরা।অন্যদিকে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শেখর সরকার দাবি করেন, তিনি রোগীকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং সার্জনকে বারবার অবহিত করেন। তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটি একটি সার্জারি কেস, তাই সার্জনের মতামত অপরিহার্য ছিল।এই মৃত্যুর পর হাসপাতাল চত্বরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতার পরিবার এবং স্থানীয়রা দায়ী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে পরিবার প্রথমে ময়নাতদন্তে রাজি না হলেও পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সম্মতি দেয়।এই ঘটনায় জেলা জুড়ে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো ও চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতা।