বিমানের ভেঙে পড়া দুর্ঘটনা: একমাত্র জীবিত রমেশের বর্ণনা
ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ ছিলেন বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের ১১এ আসনে, জরুরি দরজার পাশে। উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং তার আসনটি ছিটকে যায়। এই কারণেই তিনি বিমানের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়া আগুনের হাত থেকে বেঁচে যান।
আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমেশ ডাক্তারদের বলেন, “বিমানটি ভেঙে যায় এবং আমার আসনটি খুলে যায়। এভাবেই আমি বেঁচে গিয়েছি।” তিনি আরও জানান, তিনি বিমান থেকে লাফ দেননি বরং সিটের সঙ্গে বাঁধা অবস্থাতেই ছিটকে পড়েছিলেন।
আহত অবস্থায় রমেশকে উদ্ধার করে ট্রমা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রক্তাক্ত রমেশ একটি অ্যাম্বুল্যান্সের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন এবং বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে উৎসুক জনতা তাঁর কাছে প্রশ্ন করছেন।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার, যখন আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিমানটিতে ছিলেন ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু সদস্য। রমেশ ছাড়া আর কেউই বেঁচে যাননি।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানায়, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে পাইলট ‘মে ডে’ সঙ্কেত পাঠান, যা একটি জরুরি বিপদের ইঙ্গিত বহন করে। বর্তমানে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে এবং বিমানের ব্ল্যাক বক্স খোঁজার চেষ্টা চলছে যাতে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়।
বিমানে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ, একজন কানাডিয়ান এবং অন্যান্য ক্রু সদস্যরা ছিলেন। এই ঘটনায় প্রাক্তন গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও প্রাণ হারান
Post Comment