×

মধুচন্দ্রিমা নয়, মৃত্যু-পরিকল্পনা! মেঘালয়ে রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডে স্ত্রীর স্বীকারোক্তি

মধুচন্দ্রিমা নয়, মৃত্যু-পরিকল্পনা! মেঘালয়ে রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডে স্ত্রীর স্বীকারোক্তি

নতুন বিয়ে, মধুচন্দ্রিমা আর পাহাড়ি সৌন্দর্য—সব মিলিয়ে জীবনের সবচেয়ে সুখের সময় কাটানোর কথা ছিল রাজা রঘুবংশী ও সোনমের। কিন্তু সেই মধুচন্দ্রিমাই পরিণত হলো এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে। আর চাঞ্চল্যকরভাবে এই হত্যার নেপথ্যে উঠে এসেছে নববধূ সোনমের নাম!”মেঘালয়ের সোহরার একটি জলপ্রপাতের কাছে গভীর গিরিখাতে পাওয়া যায় রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ। প্রথমে এটিকে নিখোঁজ মামলা বলে মনে করা হলেও, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, যেমন শেষ ফোন কল, ট্যুর গাইডের বক্তব্য এবং একটি মঙ্গলসূত্রের সূত্র ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয়—এটি একটি ঠান্ডা মাথার খুন।”পুলিশি জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, সোনম ও তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা মিলে এই খুনের ছক কষে। শুধু তাই নয়, তারা ভাড়া করে তিনজন পেশাদার খুনিকে—আকাশ রাজপুত, বিশাল ওরফে ভিকি ঠাকুর এবং আনন্দ কুর্মিকে।”নববধূ যদি হঠাৎ মঙ্গলসূত্র খুলে রাখেন, সেটিই প্রথমে আমাদের সন্দেহ তৈরি করে। পরবর্তী তদন্তে সোনমের রক্তমাখা জ্যাকেট ও রেইনকোট উদ্ধার হয়, যা এই হত্যাকাণ্ডের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে উঠে আসে।”ঘটনার দিন, অর্থাৎ ২৩শে মে সকালে ট্যুর গাইড জানান, তিনি সোনম ও রাজার সঙ্গে তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে দেখেছিলেন। এই তথ্য নিশ্চিত করে খুনের পরিকল্পনা এবং তার কার্যকর হওয়ার বিষয়টি। সোনমকে পুলিশের মুখোমুখি করা হলে, একে একে সব তথ্য প্রকাশ্যে আসে।”বিয়ের মাত্র দশ দিন পরই স্বামীকে খুন করে সোনম। ইনদওরে ১১ই মে বিয়ের পর তাঁরা মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন। তবে তা ছিল এক পরিকল্পিত ফাঁদ।”এই ঘটনার পর সারা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র মেঘালয় রেলস্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সোনম, প্রেমিক রাজ এবং ভাড়াটে তিন খুনিকে।”প্রেম, প্রতারণা এবং পরিকল্পিত খুন—এই ঘটনায় আবারও প্রমাণ হলো, অপরাধ যতই নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত হোক না কেন, একদিন না একদিন তার মুখোশ খুলেই পড়ে।

Post Comment

You May Have Missed