পূর্ণ স্বাধীনতা পাকিস্তান সেনাকে—যুদ্ধের ঘোষণা আসছে সরাসরি ইসলামাবাদ থেকে।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের চরম উত্তেজনা। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারতীয় সেনা। সরকারি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতভর চলা এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।জানা গেছে, বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দপ্তর ছিল এই হামলার মূল লক্ষ্য। সেনা সূত্রে দাবি, এই অভিযান ছিল ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’—অর্থাৎ নির্ভুলভাবে পূর্ব-নির্ধারিত জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হয়।এই পুরো অপারেশন ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরাসরি নজরদারিতে। রাতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যেসব স্থান থেকে পরিকল্পনা হচ্ছিল, সেগুলোকেই লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।পালটা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে ভারতের দাবি খারিজ করেছে। তারা বলেছে, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি ঘাঁটি থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং পহেলগাঁও হামলার পরেই পাকিস্তান ভারতকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা দুর্ভাগ্যবশত ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে।এছাড়াও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ভারত সাধারণ নাগরিকদের বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং এর যোগ্য জবাব পাকিস্তান দেবে। পাকিস্তান সেনাকে ইতিমধ্যেই ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই প্রেস বিবৃতিতে।সকালেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক্স-এ একটি বিবৃতি দিয়ে এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “কাপুরুষের মতো পাকিস্তানের পাঁচটি অঞ্চলে হামলা চালানো হয়েছে। এর পালটা জবাব আমাদের অধিকার। ইতিমধ্যেই আমরা জবাব দেওয়া শুরু করেছি।”তিনি আরও জানান, “পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানে কীভাবে শত্রুকে মোকাবিলা করতে হয়। পুরো দেশ তাদের পাশে আছে এবং আমরা শত্রুর কুটিল উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না।”এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ভবিষ্যতে এই সংঘর্ষ কোন দিকে গড়াবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
Post Comment