পর্যটকদের উপর পহেলগামে জঙ্গি হামলা
পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় জায়গা, দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাম। আর সেই শান্তিপূর্ণ সৌন্দর্যের মাঝে মঙ্গলবার ঘটে গেল এক রক্তাক্ত ঘটনা। পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল জঙ্গিরা।এই হামলার পর মুহূর্তেই সামনে এসেছে একটি ভয়াবহ ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে আতঙ্কে ছোটাছুটি করছেন পর্যটকরা। আতঙ্কে কেউ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন, কেউ বা নিঃশব্দে লুটিয়ে পড়েছেন রাস্তায়। ভিডিওতে এক পর্যটককে বলতে শোনা যায়, তাঁরা তখন ভেলপুরি খাচ্ছিলেন, আচমকাই শুরু হয় গুলির বৃষ্টি। এক মহিলাকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, “আমার স্বামীকে বাঁচান!” এই হৃদয়বিদারক মুহূর্তগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।চারিদিকে শুধু কান্না, আতঙ্ক, আর রক্তের দাগ। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজন আহতকে। সেখানেই উপস্থিত এক শিশুও ভয় আর বিভ্রান্তিতে থরথর করে কাঁপছিল।উল্লেখ্য, পহেলগাম আগে থেকেই জঙ্গি কার্যকলাপের শিকার। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে অনন্তনাগের কাছেই অমরনাথ যাত্রী বোঝাই বাসে হামলা চালানো হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের। ২০২৪ সালের মে মাসেও পহেলগামে একটি রিসর্টে গুলির ঘটনা ঘটেছিল। জুন মাসে পুণ্যার্থী বহনকারী একটি বাসে হামলা হলে মৃত্যু হয় ৯ জনের।আজকের এই হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে গোটা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রওনা হয়েছেন শ্রীনগরের উদ্দেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন— “এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তারা কোনোভাবেই রেহাই পাবে না।”বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছেন, “এই নৃশংসতা হৃদয়বিদারক। গোটা দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।”এই মুহূর্তে আহতদের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে, এবং গোটা অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
Post Comment