*বাংলাদেশে সার্জিকাল স্ট্রাইক*
নিজস্ব প্রতিনিধি : ত্রিপুরা : প্রিয়াংকা বনিক : ৩১ ডিসেম্বরবাংলাদেশের টেকনাফে মায়ানমারের আরাকান আর্মির প্রবেশ শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এই সম্ভাবনা আগেই উসকে দিয়েছিল সিএন। এবার সেই সম্ভাবনা সত্যি করে বাংলাদেশে সার্জিকাল স্ট্রাইক আরাকান আর্মির। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঢুকে ১৯ জন আরসা জঙ্গিকে তুলে নিয়ে গেল আরাকানরা।বাংলাদেশ আর্মি ড্রোন উড়িয়ে, এয়ারক্রাফট সজ্জা প্রস্তুত রাখলেও এই স্ট্রাইক প্রতিহত করতে পারেনি। আরাকান আর্মির সামাজিক মাধ্যমে এই সাফল্যের বর্ণনা দিয়েছেন আরাকানরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বহু চর্চিত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আরাকান আর্মির পদচারণা দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কোনও অস্তিত্ব নেই এই এলাকায়, এমনটাই দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। মায়ানমারের আরাকান আর্মির বাংলাদেশের চট্টগ্রাম দখল কি সময়ের অপেক্ষা?এই প্রশ্ন তুলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা, কারণ ভারতের পড়শি দেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের টেকনাফে ঢুকে এক ডজনের বেশি আরসা জঙ্গিকে তুলে নিয়ে গেল আরাকানরা। রাখাইন দখলে নিয়েছিল আরাকান আর্মি, এবার বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হঠাত্ স্ট্রাইক আরাকানদের। আরসা আর্মির মাংডু শহরে হামলার প্রত্যাঘাতে টেকনাফে সার্জিকাল স্ট্রাইক আরাকান আর্মির, এমনটাই প্রাক্তন প্রতিরক্ষাকর্তাদের দাবি। আরাকান সেলভেশন আর্মি অর্থাত্ ১৯ জন রোহিঙ্গা জঙ্গিকে রাখাইন প্রদেশে তুলে নিয়ে গিয়েছে আরাকানরা। ক্ষিপ্র এবং দক্ষতার সঙ্গে এই অপহরণ ঘটিয়েছে আরাকানরা। বাংলাদেশ আর্মি এবং বিজিবিকে অন্ধকারে রেখে এই স্ট্রাইক আরাকান আর্মির। যেভাবে ডুরান্ড লাইনকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের আল হিন্দ অবধি দখল করতে চাইছে আফগান-তালিবান বাহিনী, সেভাবেই চট্টগ্রাম দখলে সক্রিয় আরাকানরা। ভূরাজনৈতিক ভাবে চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত আরাকান আর্মির। পাশাপাশি মংডু শহরে চলা হামলার প্রত্যুত্তরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিয়েছে আরাকান আর্মি। টেকনাফ অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের আইএসআই সক্রিয় থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওযায় সার্জিকাল স্ট্রাইক আরাকান আর্মির। আরসার সদস্য অপহৃতদের সামরিক ব্যবস্থায় বিচারের ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই প্রাক্তন প্রতিরক্ষা কর্তা সূত্রে খবর।
Post Comment